বাড়ির শোভা নষ্ট : সাতক্ষীরা শহরের আমতলা মোড়ে আমগাছ মেরে ফেলার চেষ্টা : অধ্যক্ষ আক্তারুজ্জামানের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন


579 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
বাড়ির শোভা নষ্ট : সাতক্ষীরা শহরের আমতলা মোড়ে আমগাছ মেরে ফেলার চেষ্টা : অধ্যক্ষ আক্তারুজ্জামানের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন
জুলাই ২৫, ২০১৫ ফটো গ্যালারি সাতক্ষীরা সদর
Print Friendly, PDF & Email

আব্দুর রহমান মিন্টু,সাতক্ষীরা :
সাতক্ষীরার অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান কলেজের  অধ্যক্ষ আক্তারুজ্জামান কর্তৃক শহরের আমতলা মোড়ে ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ আকৃতির একটি আমগাছ পরিকল্পিত ভাবে গাছের শিকড়ে এসিড পানি দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় সচেতন সাতক্ষীরাবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বৃক্ষ নিধনের অভিযোগে অধ্যক্ষ আক্তারুজ্জামানের গ্রেপ্তারের দাবী জানানো হয়।
অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এড. আব্দুর রহমান কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মকছুদুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জি, এড. ফাহিমুল হক কিসলু, দক্ষিণের মশাণের নির্বাহী সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, প্রভাষক সুশান্ত ঘোষ, ভূমিহীন নেতা আব্দুস সামাদ, শাহাজান, আবুল কালাম প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অধ্যক্ষ আক্তারুজ্জামান দেড় কোটি টাকার বাড়ির শোভা বর্ধনের জন্য সাতক্ষীরা জেলা শহরের আমতলা মোড়ের ঐতিহ্যবাহী জাতীয় বৃৃক্ষ আমগাছের গোড়ায় ছিদ্র করে নিয়মিত এসিড পানি দিয়ে মেরে ফেলার চক্রান্ত করছে। ইতিমধ্যে ওই গাছের পাতা শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। তারা অবিলম্বে অধ্যক্ষ আক্তারুজ্জামানকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
তারা আরো বলেন, অধ্যক্ষ আক্তারুজ্জামান জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৮টি কারিগরি কলেজ প্রতিষ্ঠা করে ওইসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের নামে রাতারাতি কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। সাতক্ষীরার শিক্ষাদস্যু হিসেবে তিনি পরিচিত। অবৈধভাবে আয় করা ওই টাকা দিয়েই জেলা শহরের আমতলা মোড়স্থ মাহাবুব উকিলের বাড়িটি প্রায় দেড় কোটি টাকা দিয়ে তিনি কিনেছেন। এছাড়া জেলা শহরে তার মালিকানাধীন একাধিক বাড়ি রয়েছে। কয়েক বছর আগেও তিনি জেলা শহরে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। সম্প্রতি আমতলামোড়স্থ বাড়িতে তিনি বসবাস শুরু করেছেন। ওই বাড়ির সামনে সরকারি জায়গার উপর একটি আমগাছ থাকায় তার বাড়ির শোভা নষ্ট হচ্ছে। এ কারনে তিনি পরিকল্পিত ভাবে গাছের গোড়া খুঁড়ে শিকড়ের ভিতর এসিড পানি দিয়ে গাছটি মেরে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ফলে ওই এলাকায় পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে। সে জেলার শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাণিজ্যের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। বক্তারা পরিবেশ ধ্বংস করে গাছ নিধনের জন্য আক্তারুজ্জামানের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জোর আহবান জানান।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ আক্তারুজ্জামান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ষড়যন্তমূলক। পরিকল্পিত ভাবে আমগাছ মেরে ফেরার ঘটনার সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। কারা গাছটি মেরে ফেলেছে তা আমার জানা নেই। তবে সম্প্রতি গাছের পাতা শুকিয়ে পড়ে যাচ্ছে এ তথ্য সত্য।