
অনলাইন ডেস্ক ::
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে টিআইবি বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে প্রতিবেদন দিয়েছে। প্রতিবেদনটিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বক্তব্য প্রতিফলিত হয়েছে। তাই এ প্রতিবেদন প্রত্যাখান করেছে আওয়ামী লীগ। বুধবার চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ান বাজার এলাকায় নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এ কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনে বিএনপি যে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে সেটি প্রতিবেদনে নেই। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দল ৩০০ আসনে ৮০০ প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি। কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদনে কোনো বক্তব্য নেই। আবার নির্বাচন যে অপেক্ষাকৃত শান্তিপূর্ণ হয়েছে এবং নির্বাচনী সহিংসতায় যে আওয়ামী লীগের ২২ নেতাকর্মী খুন হয়েছে সেটিও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। এ থেকে প্রমাণ হয়, প্রতিবেদনটি একপেশে ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
টিআইবির বেশিরভাগ প্রতিবেদন ত্রুটিপূর্ণ, একপেশে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, টিআইবি সবসময় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে যাচ্ছে। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ না করে উজ্জ্বল করার জন্য টিআইবির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে টিআইবি মনগড়া কল্পকাহিনী সাজিয়েছিল এবং দেশের বিরুদ্ধে নানা ধরণের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। পরে দেখা গেলো, পদ্মা সেতুতে কোনো ধরনের দুর্নীতি হয়নি। বিষয়টি শুধু দেশে নয়, বিদেশেও নানাভাবে প্রমাণিত হয়েছে। টিআইবিসহ যে সব সংস্থা পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির কল্পকাহিনী সাজিয়েছিল তাদের উচিত ছিল জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া।
তিনি বলেন, এক সময় টিআইবির যে গ্রহণযোগ্যতা ছিলো এখন আর তা নেই। আমরা আশা করি, টিআইবি তাদের কার্যক্রমকে ঢেলে সাজাবে।
উল্লেখ্য, একাদশ সংসদ নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ, প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত বলে অভিহিত করে মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশ (টিআইবি)। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বৈবচয়নে বাছাই করা ৫০ আসনের মধ্যে ৪৭টিতেই কোনো না কোনো পর্যায়ের অনিয়ম হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩টি আসনের এক বা একাধিক কেন্দ্রে আগের রাতেই ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভরা হয়েছে।