বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে সময়ের আবেদনের আদেশ সোমবার


316 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে সময়ের আবেদনের আদেশ সোমবার
মার্চ ২৮, ২০১৮ জাতীয় ফটো গ্যালারি
Print Friendly, PDF & Email

অনলাইন ডেস্ক ::
রাজধানীর হাতিরঝিলে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে ও কার্যালয় অন্যত্র সরাতে সংগঠনটির সময় চেয়ে করা আবেদনের ওপর আদেশ পিছিয়েছে। আগামী সোমবার পর্যন্ত বিষয়টি মুলতবি রেখেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। একই সঙ্গে ওইদিন (সোমবার) বিজিএমইএ-কে আবারও অঙ্গিকারনামা জমা দিতে হবে।

বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এক বছরের সময়ের আবেদন গ্রহণ করা হলে ভবিষ্যতে পোশাকশিল্প প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) আর সময় চাইবে না বলে বুধবার আপিল বিভাগে মুচলেকা দাখিল করে সংগঠনটি। তবে এই মুচলেকা অস্পষ্ট হওয়ায় বিজিএমইএর আইনজীবী এই আবেদন সংশোধন করে দিতে আদালতের কাছে সময় চান। আদালত বিষয়টি আগামী সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করেন।

আদালতে বিজিএমইএ’র পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম।

শুনানিতে আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী বলেন, ‘বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়ে মুচলেকা দিয়েছেন।’ তখন আদালত বলেন, ‘তাহলে বোর্ড অব ডিরেক্টররা আর সময় চাইবে না তো?’

জবাবে কামরুল হক বলেন, ‘আর সময় চাইবো না।’

তখন আদালত বলেন, ‘যখন ছয় মাস পরে ডিরেক্টর পরিবর্তন হবে তখন নতুন ডিরেক্টর এসে সময় চাইলে কী করবেন?’

এরপর আদালত বিজিএমইএ’র শেষ সময় চাওয়ার শর্ত সংক্রান্ত মুচলেকাটি পুনরায় সংশোধন করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

আদালত বলেন, ‘মুচলেকার পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া নির্দিষ্ট সময় পর আদালতের আদেশ পালন না করা হলে এজন্য বোর্ড অব ডিরেক্টরদের সবাই এর জন্য দায়ী থাকবেন। একইসঙ্গে ভবন ভাঙতে রাজউককে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখতে বলেছেন।’

এর আগে মঙ্গলবার সংগঠনের নিকট থেকে আন্ডার টিকিং (অঙ্গীকারনামা) পাওয়ার শর্তে সময়ের আবেদন বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। তাতে, ভবিষ্যতে আর সময় চাওয়া হবে না, আবেদনে এমন আন্ডারটিকিং (অঙ্গীকারনামা) দিতে বলা হয়েছে।

২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এক রায়ে সৌন্দর্যমণ্ডিত হাতিরঝিল প্রকল্পে বিজিএমইএ ভবনকে ‘একটি ক্যান্সার’ বলে আখ্যায়িত করেন। পাশাপাশি ৯০ দিনের মধ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। আইনি লড়াইয়ের এক পর্যায়ে আপিল বিভাগ ভবনটি ভাঙতে আরও সাত মাস সময় দেন, যা আগামী ১২ এপ্রিল শেষ হবে। কিন্তু গত ৫ মার্চ ভবনটি ভাঙতে আবারও এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করে বিজিএমইএ। গত রোববার আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিষয়টি আদেশের জন্য ধার্য ছিল।