
ওয়াহেদ-উজ-জামান, খুলনা :
প্রস্তাবিত ৮ম জাতীয় বেতন কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অবমূল্যায়নের প্রতিবাদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল ঘোষণার দাবিতে রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মবিরতি, অবস্থান ধর্মঘট এবং স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি পালন করা হয়। খুবি শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে পালিত কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. আহমেদ আহসানুজ্জামান।
কর্মসূচি চলাকালে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান একজন শিক্ষক হিসেবে এই কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
কর্মসূচি চলাকালে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. সরদার শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ সারওয়ার জাহান।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের দাবিসমূহ হচ্ছে, অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন করা, শিক্ষকদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মধ্যবর্তী সময়ে ঘোষিত বেতন কাঠামো পুনঃনির্ধারণ করে সকল সিলেকশন গ্রেড অধ্যাপকদের বেতন-ভাতা সিনিয়র সচিবের সমতুল্য করা (যদি অষ্টম বেতন কাঠামোতে প্রস্তাবিত পদটি (সিনিয়র সচিব) রাখা হয়; অধ্যাপকদের বেতন-ভাতা সচিবের সমতুল্য করা; সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকদের বেতন কাঠামো ক্রমানুসারে নির্ধারণ করাসহ শিক্ষকদের যৌক্তিক বেতন স্কেল নিশ্চিত করা), রাষ্ট্রীয় ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স-এ আমাদের প্রত্যাশিত বেতন কাঠামো অনুযায়ী পদমর্যদাগত অবস্থান নিশ্চিত করা এবং সরকারি কর্মকর্তাদের অনুরূপ গাড়ি ও অন্যান্য সুবিধা শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও নিশ্চিত করা।
স্বাক্ষর কর্মসূচির আগে তিনি এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের অবমূল্যায়ন কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এটার সাথে কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, প্রস্তাবিত ৮ম জাতীয় বেতন কাঠামোর সাথে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মান মর্যাদা জড়িত। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের এই সংবেদনশীল বিষয়টি সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করবেন বলেও বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।