বড়দল কলেজিয়েট স্কুলে ভূয়া সনদে চাকুরী পাওয়া প্রভাষকের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট


299 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
বড়দল কলেজিয়েট স্কুলে ভূয়া সনদে চাকুরী পাওয়া প্রভাষকের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট
অক্টোবর ১২, ২০২২ আশাশুনি ফটো গ্যালারি
Print Friendly, PDF & Email

॥ এস কে হাসান ॥

আশাশুনি উপজেলার বড়দল আফতাব উদ্দীন কলেজিয়েট স্কুলে ভূয়া ও জালজালিয়াতি শিক্ষক নবিন্ধন সনদপত্র তৈরি করে প্রভাষক পদে চাকুরী নেওয়া শিবপদ সানার জালজালিয়াতি ধরা পড়েছে। তাকে চাকুরী থেকে সাসপেন্ড করা ও থানায় মামলা করা হয়েছে। দুদক এর মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে বলে জানাগেছে। এজাহার, দুদক, এনটিআরসিএ ও শিক্ষা অধিদপ্তরের কাগজপত্র সূত্রে জানাগেছে, তালা উপজেলার মেশারডাঙ্গা গ্রামের করুনাময় সানার ছেলে শিবপদ সানা তঞ্চকিকতা করে ২০০৮ সালে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় (রোলনং-২০১১০৪৫১, রেজিঃনং- ৮০০১৯৮৩০) এবং আরেকবার ২০০৫ সালে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা (রোলনং- ৬৫৭০৩৫২ ও রেজিঃনং- ০৫১০৭৯৫৩) সনদ ব্যবহার করে ১৩/১২/২০১০ তাং ব্যবসায় ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে প্রভাষক পদে চাকুরীতে যোগদান করেন। কুমিরা মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক আদিত্য ব্যানার্জী বাদী হয়ে ১/৯/১৬ ও ৩১/০৫/১৭ তাং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটি সরেজিমন তদন্ত করেন। এনটিআরসিএ নিবন্ধনসনদ যাচাই শেষে ১১/০৩/২১ তাং রিপোর্টে বলা হয়, ২০০৮ সালের সনদটি জাল ও ভূয়া। প্রকৃত সনদধারীর নাম এমডি জিয়াউর রহমান, পিতা এমডি আয়ুব আলী। বিষয় বাংলা। এবং ২০০৫ সালের সনদটিও জাল ও ভূয়া। প্রকৃত সনদধারীর নাম তানমীম ইয়াসমীন, পিতা মোঃ শাহজাহান আলী। একই সাথে এনটিআরসিএ এর সহকারী পরিচালক (পমূপ্র-৩) তাজুল ইসলাম বড়দল আফতাব উদ্দিন কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষকে দালিলিক ভাবে প্রমাণিত জাল ও ভূয়া সনদধারী শিবপদ সানার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের পূর্বক তার অফিসকে অবহিত করতে বলেন। কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ ড. শিহাবুদ্দীন অভিযুক্ত শিবপদ সানার বিরুদ্ধে আশাশুনি থানায় ৪০৬, ৪১৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ পেনাল কোড ধারায় ২০/০৪/২১ তাং ১৮৬০ নং মামলা রুজু করেন। মামলা বিচারাধীন অবস্থায় দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে। বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালত খুলনায় ক্রিমিনাল মিস কেস (নং-১১০২/২০১৮) রুজু করা হয়। প্রতিষ্ঠান থেকে ৭/১/২১ তাং প্রভাষক শিবপদ সানার নিয়োগ সংক্রান্ত ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জব্দ করা করেন দুদক। এদিকে কলেঃ স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে ২০২১ সালের মার্চ মাসে সাসপেন্ড করেন। এতকিছুর পরও ভূয়া সনদে চাকুরীতে যোগদানকারী শিবপদ সানা জ্যেষ্ঠ প্রভাষক হিসাবে উচ্চতর স্কেল প্রাপ্তির আবেদন করেন। জাল ও ভূয়া সনদে চাকুরীতে যোগদান সংক্রান্ত উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ও মামলাসহ সংগত কারনে অধ্যক্ষ আবেদনে না করায় শিবপদ সানা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার ও বিষোদগার শুরু করেছেন। এতে প্রতিষ্ঠানসহ এলাকাবাসীর মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক শিবপদ সরকার ৩০/০৯/২০০২ সালে প্রথমবার এবং একই ব্যক্তিকে একই প্রতিষ্ঠানে ২০/১০/২০১০ তাং দ্বিতীয় বার যোগদান দেখানো হয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানে আরও কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে বলে শিবপদ সানা দাবী করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট অনেকে জানান। বিষয়টি তদন্ত করলে অবৈধ ও তঞ্চকীপূর্ণ নিয়োগ ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে তারা দাবী করেন। কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ ড. শিহাবুদ্দীন জানান, প্রভাষক শিবপদ সানার বিরুদ্ধে দুদকে মামলা চলমান রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হয়েছে। এনটিআরসিএ এর নির্দেশনায় আদালতে পৃথক মামলা চলমান রয়েছে। তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

#