
অনলাইন ডেস্ক ::
ভারতের বিপক্ষে এতো বছরেও টি২০ তে জয়ের যে অপেক্ষা তা আর শেষ হলো না। ২০০৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে টি২০ শুরু হওয়ার পর থেকে ভারতের বিপক্ষে জয় পায়নি টাইগাররা। সেই ২০০৯ সালে প্রথম সাক্ষাৎ।ট্রেন্ট ব্রিজে সেবার ভারত ২৫ রানের জয় পেয়েছিল। সেই থেকেই জয়ের অপেক্ষা শুরু। শ্রীলংকার বিপক্ষে রেকর্ড জয়ের পরে ভারতের বিপক্ষে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল মাহমুদুল্লার দল। কিন্তু দ্রুত উইকেট হারিয়ে তা আর হলো না।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ভারত ১৭৭ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায়। কিন্তু রান তাড়ায় দ্রুত উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৬১ রানেই বাংলাদেশের টপ অডারের চার ব্যাটনম্যান ফিরে যান। এরপর যা লড়াই করেছেন আগের ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলা মুশফিকুর রহিম। তার ব্যাটে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছে কিন্তু জয় পায়নি। হেরেছে ১৭ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে শ্রীলংকার বিপক্ষে অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস খেলা মুশফিক ভারত ম্যাচেও খেলেছেন অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস। কিন্তু যোগ্য সঙ্গীর অভাবে জয় নিয়ে ফেরা আর হলো না মুশফিকের। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান সংগ্রহ করতে পারে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ প্রথম ১২ রানে শ্রীলংকার বিপক্ষে দারুণ খেলা লিটন দাসের উইকেট হারায় এরপর তিনে ব্যাট করা সৌম্য সরকারও দ্রুত ফিরে যান। এরপর দারুণ খেলতে থাকা তামিমে স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তিনিও ১৯ বলে ২৭ রান করে সুন্দরের শিকার হন। বাকি লড়াইটা একাই করেছেন মুশফিক। তার সঙ্গে ২৩ বলে ২৭ করে সাব্বির যা একটু সঙ্গ দিয়েছেন। ভারতের হয়ে ৪ ওভার বল করে ২২ রানে ৩ উইকট নিয়ে ওয়াশিংটন সুন্দর একাই বাংলাদেশ ইনিংসের কোমর ভেঙে দিয়েছেন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান তোলে। ভারতের হয়ে শেখর ধাওয়ান ২৭ বলে ৩৫ রান করেন। এছাড়া অফ ফর্মে থাকা রোহিত শর্মা ৫ চার ও ৫ ছয়ে ৬১ বলে ৮৯ রান করে ওভারের শেষ বলে রান আউট হয়েছেন। টি২০ তে নিজের ১৩ তম অর্ধ শতক পূর্ণ করেন তিনি। এছাড়া সুরেশ রায়না ৩০ বলে ৪৭ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে রুবেল হোসেন ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৭ রানে ২ উইকেট নেন।