
ভয়েস অব সাতক্ষীরা ডটকম ডেস্ক :
ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য ফেলানী হত্যার পুণঃবিচারের উদ্যোগ নিতে ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের (মাসুম) কাছে আবেদন করেছে ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম নুরু।
বুধবার বিকেলে কুড়িগ্রামে ‘মাসুম’ এর নির্বাহী পরিচালক কিরীট রায়ের কাছে এ বিষয়ে এক আবেদন করেন তিনি। এ সময় বাংলাদেশের আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) সিনিয়র উপ-পরিচালক টিপ সুলতান ও আসকের সিনিয়র আইনজীবি এ্যাডভোকেট অবন্তী নুর উপস্থিত ছিলেন।
ফেলানী হত্যা মামলার পুনর্বিচারের রায়েও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্য অমিয় ঘোষকে খালাস দেয় ভারতের কোচবিহারে স্থাপিত বিএসএফের বিশেষ আদালত। রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম বলেন, ‘দুই দফা সাক্ষ্য দেওয়ার পরও মেয়ে হত্যার ন্যায্য বিচার পেলাম না। অমিয় ঘোষের ফাঁসি হওয়া উচিৎ ছিল। তা না করে তারা বিচারের নামে তামাশা করেছে। এখনও ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় আছি। তাই এ আবেদন করলাম।’
‘মাসুম’ এর কাছে দেওয়া আবেদনে ফেলানীর বাবা বলেন, ‘২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি আমার কন্যা ফেলানী খাতুন বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের আর্ন্তজাতিক সীমানা পিলার নং ৯৪৭ এর কাছে বিএসএফ সদস্য অমিয়র গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হয়। এ ঘটনার পর বিএসএপের আদালত অমিয় ঘোষকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ গঠন করে। দুই বছর ৮ মাস পর ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করেন আদালত। সেই রায় প্রত্যাখ্যান করে ভারত সরকারের কাছে ফেলানী হত্যার পূণর্বিচার চেয়ে আবেদন করলে বিএসএফ মহাপরিচালক তা পুনর্বিবেচনার আদেশ দিয়েছিলেন। গত ২ জুলাই বিএসএফ কোর্ট অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে আবারো নির্দোষ বলে রায় দেন। আসামি অমিয় ঘোষ আদালতে হত্যার করার কথা স্বীকার করার পরও সে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় আমি বিস্মিত ও মর্মাহত। আমার কন্যার হত্যাকাণ্ডে বিএসএফ যেহেতু সরাসরি জড়িত সে কারণে এর দায় ভারত সরকার তথা ভারতীয় জনগণের। আমার নিরীহ নিরস্ত্র কন্যা ফেলানী হত্যাকাণ্ডে জড়িত অমিয় ঘোষকে শাস্তি এবং ক্ষতিপুরণের দাবী জানান ভারত সরকারের কাছে।’
ফেলানী হত্যা মামলা ভারতের উচ্চ আদালতে নেওয়াসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে ভারতীয় মানবাধিকার সংস্থার প্রতি আহ্বান জানানো হয় ওই আবেদনে