
স্টাফ রিপোর্টার:
সাতক্ষীরার মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসায় আমি সিক্ত হয়েছি। পেয়েছি অনেক ফুলেল শুভেচ্ছাও। সবগুলি পেছনে ফেলে আমি শুধু নিয়ে গেলাম সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের দেওয়া ফুলের স্তবকটি। এভাবেই নিজেকে নিজেই বিদায় জানিয়ে সাতক্ষীরার বিদায়ী জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বলেন, সাতক্ষীরার মানুষ শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী। তাদের সাথে দুই বছর যাবত নানা কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থেকে আমার এমন উপলব্ধি এসেছে। আমি যেখানেই থাকি মনে থাকবে সাতক্ষীরার কথা। স্মৃতিপটে গেতে থাকবে আপনাদের প্রিয় মুখগুলি।
বিদায় নয় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব জেলা প্রশাসকের জন্য আয়োজন করেছিল এক আন্তরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রাণ খুলে কথা বলতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, প্রেস ও প্রশাসনের মধ্যে যে এতো নৈকট্য সৃষ্টি করা যায় তা কেবল সাতক্ষীরায় প্রমানিত হয়েছে। বাংলাদেশে এমনটি বিরল। তিনি বলেন, কাজের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরার সাংবাদিক সমাজ আমাকে সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে । এজন্য আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি নিজের অনেক প্রতিশ্রুতি রক্ষা ও অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে না পারার ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে মো. নাজমুল আহসান বলেন, আমার স্থান আবারও একজন কর্মকর্তা পূরন করবেন। তিনিই আমার অসমাপ্ত কাজগুলি শেষ করবেন এমন প্রতিশ্রুতি দিলাম।
প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক এম কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী ও দৈনিক প্রথম আলোর কল্যাণ ব্যানার্জি । এ সময় ভারপ্রপাপ্ত এনডিসি বিষ্ণুপদ পাল ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অন্যান্য সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ অনন্ত চরাচরে স্বর্গ মর্ত্য ছেয়ে, সবচেয়ে পুরাতন কথা, সবচেয়ে গভীর ক্রন্দন, যেতে নাহি দিব হায়, তবু যেতে দিতে হয় তবু চলে যায়’ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই চিরন্তনী কবিতার ছন্দ পাঠ করে বক্তরা বলেন, আপনি সাতক্ষীরার ১৭ তম জেলা প্রশাসক হিসাবে সুখে দুঃখে আমাদের পাশে থেকেছেন। জনকল্যানে কাজ করেছেন। সহিংসতার তান্ডব থেকে সাতক্ষীরাকে রক্ষা করেছেন। সাতক্ষীরাকে একটি মডেল জেলা হিসাবে উন্নীত করনের পথে নিয়ে এসেছেন।সাতক্ষীরাবাসী আপনাকে জানায় স্যালুট, জানায় কৃতজ্ঞতা। আত্মীয়তার এই মেইল বন্ধন ছিন্ন হবেনা কোনোদিন। তারা আরও বলেন কাজের মধ্য দিয়ে কোনো ধরনের সাংঘর্ষিক অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। কারন আপনি দেশকে ভালবেসে কাজ করেছেন। আর আমরাও জনকল্যানে নিজেদের মন মনন ও শ্রম সমর্পন করেছি। আপনি খুলনার মতো একটি অতি বৃহৎ কর্মস্থলে যোগ দিতে যাচ্ছেন এবং সেখানেও আপনি গড়ে তুলবেন আরও ভালবাসার ভূবন। এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে সাংবাদিকরা বিদায়ী জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসানের হাতে তুলে দেন ফুল ও ক্রেস্ট।