
জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন ও একে অপরের মধ্যে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উদযাপন করলো। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ রোববার সকাল ১০ টায় ঐতিহাসিক ধানম-ি ৩২ নম্বরে এক ব্যতিক্রম ধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি ও জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি আব্দুল মোমেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি বলেন, ভালোবাসা দিবসে আমি সকলের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান জানাই। তবে আজকে বিশেষভাবে নারীদের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা জানাতে চাই। নারীর প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা জানাতে হলে নারীর সমঅধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। শ্রদ্ধাভরে নারীকে মা বলে ডাকবেন, আদর করে নারীকে বোন বলে ডাকবেন, ভালোবেসে নারীকে প্রেমিকা বলে ডাকবেন, বিয়ে করে স্ত্রী বলে ডাকবেন কিন্তু ক্ষমতা, কাজকর্ম, সম্পত্তিতে নারীকে সমঅধিকার দিবেন না – তা হবে না, তা হবে না, তা হবে না। আসুন, আমরা আজ থেকে শপথ নিই – সম্পত্তিতে নারীর সমঅধিকারের বিষয়টি নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করবো।
প্রধান অতিথি বলেন, নারীর সমঅধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যায় না। লিঙ্গ বৈষম্য মুক্ত সমাজই প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাজ। নারীকে সমঅধিকার দেয়া হোক, এর মাধ্যমে নারীর প্রতি প্রকৃত সম্মান জানানো হবে। নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করতে হলে জঙ্গী দমন করতে হবে, সামাজিক-অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে হবে, সাম্প্রদায়িকতা দূর করতে হবে, লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে হবে। নারীর সমঅধিকার ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় বাধা জঙ্গীবাদ। আসুন, নারীর সমঅধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জঙ্গীবাদকে কঠোরভাবে দমন করি।
বিশেষ অতিথি জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি আব্দুল মোমেন বলেন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে অনেক ধরণের অনুষ্ঠান হয়, বিভিন্ন ব্যক্তি বা সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এ দিবসকে নানাভাবে পালন করে। এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক সংগঠন বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে এ ধরনের কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করলো । এ জন্য আমি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগকে ধন্যবাদ জানায়। কারণ রাজনীতির প্রথম এবং প্রধান বৈশিষ্ঠ্য হলো ভালোবাসা, মানুষের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুও মানুষকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসতেন বলে এ দেশের মানুষ তাকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেছিলো। তিনি বাংগালী জাতিকে একটি স্বাধীন স্বার্বভৌম আবাসভূমি দিতে পেরেছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, আজকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে যুবলীগ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিশ্ব শান্তির দর্শন জনগণের ক্ষমাতায়নে মেল বন্ধন গড়ে তুলতে চায়। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সকল স্তরের সকল নেতা ও কর্মীদের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আমরা আজ উজাড় করে দিতে চাই আমাদের মহান শিক্ষক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের ডাক – রাজনৈতিক নেতা কর্মী ও জনতার মাঝে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলুন। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিশ্বশান্তির দর্শন জনগণের ক্ষমতায়ন সুদৃঢ় করুন। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বয়ে আনুক রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও জনতার মাঝে সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধন। আসুন সকলে মিলে সুদৃঢ় করি রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিশ্বশান্তির দর্শন জনগনের ক্ষমতায়ন ।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশীদের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবর রহমান চৌধুরী, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, মোঃ আতাউর রহমান,আনোয়ারুল ইসলাম, শেখ আতিয়ার রহমান দীপু, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, মঞ্জুর আলম শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক, আসাদুল হক আসাদ, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, মোঃ আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, উপ-সম্পাদক শ্যামল কুমার রায়, সহ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, হাসিবুর রহমান বাচ্চু, কেন্দ্রীয় নেতা রওশন জামির রানা, মনিরুল ইসলাম হাওলাদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সহ সভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশীদ। অনুষ্ঠান শেষে ধানম-ি ৩২নং বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।
প্রেসবিজ্ঞপ্তি