
আসাদুজ্জামান ও রাহাত রাজা :
তল্লাশি, ওজন ও পণ্য পরীক্ষার নামে বিজিবি কর্তৃক সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে আমদানি রফতানি কাজে বাঁধা সৃষ্টির প্রতিবাদে বন্দর ব্যবহারকারীরা ৩ ঘন্টার কর্মবিরতি পালন করেছে। মঙ্গলবার সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়ে এ কর্মবিরতি চলে বেলা ১১ টা পর্যন্ত।
এর আগে গত রোববার দুপুরে ভোমরা স্থল বন্দরে সিএন্ডএফ এসোসিয়েশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চার দিনের কর্মসূচির ঘোষনা করা হয়।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে দাবি আদায়ের লক্ষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ভোমরা সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী, বানিজ্যমন্ত্রী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলে স্বারক লিপি দেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো: মহিউদ্দিন স্বারক লিপি গ্রহণ করেন। পরে সি এন্ড এফ এজেন্ট নেতারা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠু, ভোমরা সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি নওশাদ দেলোয়ার রাজু, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম, সিএন্ডএফ নেতা মমতাজ আহমেদ বাপি, রামকৃঞ্চ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন। তারা অবিলম্বে ভোমরা সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের ব্যবসায়িদের দাবি বাস্তবায়ন করার আহবান জানান।
ভামরা সিএন্ডএফ এসোসিয়েশন সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, তল্লাশি, ওজন ও পণ্য পরিক্ষার নামে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করে বিজিবি অহেতুক ভোমরা স্থল বন্দরে আমদানি রফতানি কাজে বাঁধা সৃষ্টি করছেন। বিজিবির কর্মকান্ড বাংলাদেশ শুল্ক আইনের পরিপন্থি বলেও তিনি দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৭ এপ্রিল ৬২৯ বস্তা ভারতীয় পান বিজিবি আটক করেন। এই পানের বিপরীতে ব্যবসায়ীরা যথাযথ শুল্ক প্রদান করেছেন বলে তারা দাবী করেন। বিজিবি পরে এই পান থানায় জমা দিয়ে চার ব্যবসায়ী ও দুই কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চোরাচালান ও শুল্ক ফাঁকির মামলা করেন। ব্যবসায়ীরা ওই মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছেন।