ভোমরা সড়কের দু’ধারের জায়গা দখলমুক্ত করতে মাঠে নেমেছে জেলা পরিষদ


925 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
ভোমরা সড়কের দু’ধারের জায়গা দখলমুক্ত করতে মাঠে নেমেছে জেলা পরিষদ
মার্চ ২৪, ২০১৮ ফটো গ্যালারি সাতক্ষীরা সদর
Print Friendly, PDF & Email

 

ইব্রাহিম খলিল ::
সাতক্ষীরার আলীপুর থেকে ভোমরা স্থলবন্দর পর্যন্ত রাস্তার দু’ ধারের জবরদখলকৃত জায়গা পরিদর্শন করলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্যরা। শনিবার দুপুরে তারা জবরদখলকারিদের সঙ্গে কথা বলে জেলা পরিষদ থেকে যথাযথভাবে বন্দোবস্ত নিয়ে তা ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।

জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বাবু ভয়েস অব সাতক্ষীরাকে জানান, আলীপুর থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের রাশিদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাঁশকল পর্যন্ত রাস্তার দু’ ধারে জেলা পরিষদের দু’ একরের বেশি জায়গা রয়েছে। এ জায়গায় গড়ে উঠেছে রাইস মিল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, পল্লী বিদ্যুতের সাব স্টেশন, বসত বাড়ি। এসব দেওয়ানী আদালতে মামলা থাকার পরও ভোমরা ইউপি’র সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম, শহীদুল ইসলামসহ কয়েকজন অনিয়ম ও দূর্ণীতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন। এর পিছনে চৌবাড়িয়ার জনৈক প্রভাবশালী বিএনপি নেতা আগামি সংসদীয় নির্বাচনে সদর আসন থেকে প্রার্থী আফছার আলী কাজ করে যাচ্ছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। এ নির্মাণের পক্ষে ওই জমিতে জালালউদ্দিন আকবর, কামরুল ইসলামসহ ১৫ জনের একসনা বন্দোবস্ত থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে তাদেরকে দখলচ্যুত করা হয়েছে। আবার অনেকেই ইতিপূর্বে বন্দোবস্ত নিয়ে বর্তমানে তা নবায়ন করছেন না। আবার কৃষি জমি হিসেবে বন্দোবস্ত নিয়ে তাতে পাকা ইমারত গড়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। আবার কোন প্রকার নিয়ম না মেনেই রাইস মিলের চাতাল বা পল্লী বিদ্যুতের সাব স্টেশন তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন। অনেকেই জলাশয় ভরাট করে স্টোন চিপ বা বালির ব্যবসা করে যাচ্ছেন।

তিনি জানান, এ সব জমি জবরদখলের পিছনে জেলা পরিষদের তদারকির গাফিলতি , জমি নিয়ে দেওয়ানী আদালতে মামলা থাকলেও জেলা পরিষদের আইনজীবীদের যথাযথ ভূমিকা না রাখা, সেটেলমেন্টে রেকর্ডের সময় জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের যথাযথ ভূমিকা না রাখা ছাড়াও বেশ কিছু অনিয়মের বিষয়টি স্থানীয়রা তাদেরকে অবহিত করেন। একপর্য়ায়ে তারা রফিকুল ইসলাম ও শহীদুল ইসলামকে নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখে কাগজপত্রসহ পরিষদে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। এ ছাড়াও আলীপুরের এসএস রাইস মিলের স্বতাধিকারি ফিরোজ হোসেনসহ জবরদখলকাািরদের আইনি প্রক্রিয়ায় বন্দোবস্ত নেওয়ার পরামর্শ দেন। ১৯৮১ সালের ১২ আগষ্ট থেকে ছয় বছর মেয়াদী বন্দোবস্ত দলিল ছয় মাসের মধ্যে হস্তান্তর করা যাবে না উল্লেখ থাকলে একদিন পর আবুল হোসেন এক একর ৬৪ শতক জমি কিভাবে বিক্রি করলেন তা নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে বসা হবে। দেওয়ানী ৩৮৫/১৫, ল্যান্ড সার্ভে ১৪৯/১৫ ও দেওয়ানী ৯৮/১৬ মামলা সম্পর্কে করনীয় কি তা তারা আইনজীবী ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে কথা বলবেন। বন্দোবস্ত নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অবিলম্বে মাইকিং করা হবে বলে জানান তিনি।

সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের পরিদর্শন টিমের অন্য সদস্যরা হলেন, সদস্য অ্যাড. শাহানাজ পারিভন মিলি, মাহাফুজা সুলতানা রুবি , আল ফেরদৌস আলফা, মনিরুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, মতিয়ার রহমান , নজরুল ইসলাম হিল্লোল, আব্দুল হাকিম, ডালিম কুমার ঘরামী, মুকুল হোসেন, ওবায়দুর রহমান লাল্টু, মহিতুর রহমান ও সার্ভেয়র হাসানুজ্জামান।
###