
নাজমুল হক :
হাত ভেঙে চিকিৎসা নিতে এসে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলো আশাশুনি উপজেলার শালখালি গ্রামের রবিউল ইসলাম শিরোনামে ভয়েস অব সাতক্ষীরা ডটকমে সংবাদ প্রকাশের পর তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। নড়ে চড়ে বসেছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তাররা।
মঙ্গলবার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ঘটনাটির যাচাই করার জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার দর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা: রফিকুল ইসলাম তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তদন্ত কমিটির মধ্যে রয়েছে ডা: রুহুল কুদ্দুস, ডা: আসাদুজ্জামান ও ডা: জয়ন্ত কুমার।
এদিকে, যার বিরুদ্ধে রোগীর পরবারের মূল অভিযোগ সেই এ্যানেস্থেসিয়া ডা: আসাদুজ্জামানকে তদন্ত কমিটি রাখায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাযায়, গত চার মাস আগে ইঞ্জিন ভ্যান থেকে পড়ে আশাশুনি উপজেলার শালখালি গ্রামের সোহেল উদ্দীনের ছেলে রবিউল ইসলামের বাম হাত ভেঙ্গে যায়। এ সময় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সদর হাসপাতাল থেকে তার হাতের প্লাস্টার ও এক দফা অপারেশন করে।
কিন্তু হাতের হাড় জোড়া না লাগায় হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ১৫/১৬ দিন অন্তর ডাক্তার দেখাতে হতো। সর্বশেষ গত ১৫ দিন পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবার। গত সোমবার হাসপাতালে বাম হাত অপারেশনের দিন ধার্য্য ছিলো। সে মোতাবেক সদর হাসপাতালের ডা. ওয়ালিদের নেতৃত্বে ডা. আলমগীর কবীর অপারেশন করেন। অন্যদিকে সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট এ্যানেস্থেসিয়া ডা. আসাদুজ্জামান রোগীকে অবাশ করেন। সকাল সাড়ে ১০টায় অপারেশন শুরু হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় শেষ হয়। অপারেশন শেষ হলেও রোগীর জ্ঞান ফেরেনি। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. ফরহাদ জামিল জানান, অপারেশনের পরে লাঞ্চে পানি জমে কিন্তু সেটি নিয়ন্ত্রণে না আসায় পরে তার মৃত্যু হতে পারে।
এ ব্যাপারে ভয়েস অব সাতক্ষীরা ডটকমে মঙ্গলবার একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে শুরু হয় চিকিৎসক মহলে ব্যাপক তোলপাড়।