মাঝির ছেলে থেকে জনগণের কাণ্ডারি


512 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
মাঝির ছেলে থেকে জনগণের কাণ্ডারি
জুলাই ২৮, ২০১৫ প্রবাস ভাবনা ফটো গ্যালারি
Print Friendly, PDF & Email

ভয়েস অব সাতক্ষীরা ডটকম ডেস্ক :
মাঝির ছেলে মাঝিই হয়েছিলেন। কিন্তু ছোট্ট কোনো নদীর একটা নৌকার মাঝি নয়। শতাধিক কোটি মানুষের ভারত নামের এক নৌকার কাণ্ডারি ছিলেন এপিজে আবদুল কালাম।

যে ছেলেটি তার জীবন শুরু করেছিলেন কাগজবিক্রেতা হিসেবে, সেই তিনি একদিন আসীন হন ভারতের রাষ্ট্রপতির পদে। আর তার আগেই তো বনে গিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এক রকেটবিজ্ঞানী। ভারতের মহাকাশ গবেষণা আজ গতি পেয়েছে, ভারত আজ যতটুকু পরমাণু শক্তি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে—সবই সম্ভব হয়েছে এই মিসাইল ম্যানের কারণে।

বর্তমানের তামিলনাড়ুর রামেশ্বরামে ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর জন্ম হয় বিজ্ঞানী আবদুল কালামের। বাবা মাঝি হওয়ায় নানা ধর্মের নানা গোত্রের মানুষের সঙ্গে মেশার সৌভাগ্য হয়েছিল কিশোর কালামের।

সাত ভাই বোনের সঙ্গে বেড়ে উঠেছেন তিনি। তবে অন্যদের চেয়ে তার কষ্ট ছিল অনেক। তার দিন শুরু হতো ভোর চারটায়, ঘুমাতে ঘুমাতে বেজে যেত রাত ১১টা।

কালাম খুব মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। এজন্য মা তার জন্য কিছুটা কেরোসিন বাঁচিয়ে রাখতেন, ছেলে যেন রাতে সেই আলোয় পড়তে পারে।

এই মেধাবী ছেলেই বড় হয়ে রকেট বিজ্ঞানী হয়েছিলেন। ১৯৯৮ সালে ভারতের পোখরান-২ পারমাণবিক পরীক্ষায় তিনিই মুখ্য ভূমিকা রেখেছিলেন।

তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে পদ্মভূষণ ও ভারত রত্ন পুরস্কার দেওয়া হয়।

আবদুল কালাম ২০০২ সালের ২৫ জুলাই থেকে ২০০৭ সালের ২৫ জুলাই রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।

২৭ জুলাই ২০১৫ মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে বক্তৃতা দিতে দিতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শেষ হয় ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতি ড. এপিজে আবদুল কালামের বর্ণাঢ্য সাদাসিধে জীবনের।