
স্টাফ রিপোর্টার ঃ
মিথ্যা ধর্ষনের চেষ্টা মামলার প্রতিবাদে ও মামলা থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম বিড়ালক্ষী গ্রামের মৃত সুরাত আলী সানার ছেলে কামরুল ইসলাম।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারী তারিখে শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম বিড়ালক্ষী গ্রামের আব্দুল লতিফ সানার মেয়ে মমতাজ পারভীন শ্যামনগর থানায় তিনিসহ পাচ জনের নামে একটি মিথ্যা ধর্ষনের চেষ্টা ও সহায়তার অপরাধে মামলা দায়ের করেন। মমতাজ পারভীন সম্পর্কে তার চাচাতো বোন। সে যে মামলাটি করেছে তা সম্পূর্ন ভূয়া, মিথ্যা ও হয়রানী মূলক। তিনি বলেন, মমতাজ পারভীন একজন চরিত্রহীন মহিলা। তার বাড়িতে প্রায়ই অপরিচিত লোকজন যাতায়াত করে। আর এত বাধা দেয়ার কারনে সে তাদের নামে হয়রানী মূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। তার স্বভাব চরিত্রের কারনে তার আপন ভাইয়েরা ভারতে বসবাস করেন। তার আপন ভাই তায়জ্জেল সানার কাছে ইট ভাটার দাদন বাবদ তিনি দুই লাখ টাকা প্রদান করেন। যা এখনও পর্যন্ত তাকে কেউ পরিশোধ করেননি। টাকা চাইতে গেলে টালবাহানা করা হয়। এছাড়া উক্ত ধর্ষন চেষ্টা মামলার আসামী আবুল বাসারের স্ত্রী শাহানারা বেগমের সাথে এজাহার কারী মমতাজ পারভীনের বিরোধীয় সীমানা নিয়ে ঝগড়া হয়। এ সময় তিনি শাহানা বেগমকে চুলের মুঠো ধরে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করতে গেলে সেই ইট মমতাজ বেগমের মাথায় লেগে সামান্য জখম প্রাপ্ত হয়। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে মমতাজ পারভিন একটি মনগড়া মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মমতাজ বেগমসহ ওই মামলার স্বাক্ষী ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কোন সত্যতা প্রমান না পাওয়ায় উক্ত মামলা হতে তাদের অব্যহতি দেন। একই সাথে মামলা দায়ের কারী মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে ১৭ ধারা মতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রার্থনা করেছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, উক্ত মমতাজ পারভীন তাদের নামে যে মিথ্যা ধর্ষনের চেষ্টা ও সহায়তার অপরাধে যে মামলা দায়ের করেছেন তাথেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।##