
অনলাইন ডেস্ক ::
একে একে নিভিছে দেউটি। ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর পর এবার চলে গেলেন নারী মুক্তিযোদ্ধা কাঁকন বিবি। গতকাল বুধবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে একাত্তরের এই বীর সেনানী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)। নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টের জন্য সোমবার রাতে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. দেবপদ রায় এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কাঁকন বিবির ফুসফুসের একাংশ কাজ করছিল না।
১৯৭১ সালে ৩ মাস বয়সী মেয়ে সখিনাকে রেখে মুক্তিযুদ্ধে যান কাঁকন বিবি। গতকাল রাতে সখিনা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সব শেষ হয়ে গেছে। প্রথমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গুপ্তচরের কাজ করলেও পরবর্তী সময়ে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন কাঁকন বিবি। পাকিস্তান বাহিনীর হাতে আটক হয়ে নির্যাতনের শিকারও হয়েছেন এই যোদ্ধা। ১৯৯৬ সালে সরকার তাকে বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করার ঘোষণা দেয়; কিন্তু জীবদ্দশায় তিনি এই খেতাবটি পাননি। এটাই ছিল তার জীবনের শেষ আক্ষেপ। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার ঝিরাগাঁও গ্রামের অধিবাসী কাকন বিবি খাসিয়া আদিবাসী নারী হলেও পরে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
গত বছরের জুলাই মাসে ব্রেইন স্ট্রোক করার পর থেকেই কাঁকন বিবি অসুস্থ ছিলেন। সোমবার সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিকেলেই তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বয়স একশ’র ওপরে বলে জানিয়েছেন মেয়ে সখিনা। কাঁকন বিবির মৃত্যুর খবর পেয়ে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ হাসপাতালে ছুটে যান।