
ক্রীড়া প্রতিবেদক
এশিয়া কাপ শেষ। ভারত অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। অথচ এই আসর নিয়ে আলোচনা থামছে না। বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা ফাইনালের হার ভুলতে পারছে না। ২০১২ সালে এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে পাকিস্তানের কাছে ২ রানে হেরে যায়। চার বছর পর আবারও ফাইনালে উঠেছিল। সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে বিধ্বস্ত করে। টি-২০তে টাইগারদের পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মতো ছিল না। র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান আফগানিস্তানের নিচে। অথচ এবারে টি-২০ এশিয়া কাপে মাশরাফিরা জ্বলে উঠেছিলেন। ভারতের কাছে ক্যাচ মিসে উদ্বোধনী ম্যাচে হার মানলেও পরের তিন ম্যাচে ব্যাট-বলে আগুন ঝরে।
২০১২ সালে ফাইনালে উঠলেও এবারের উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। বলা যায়, ক্রিকেট ঘিরে এত আলোচনা বাংলাদেশে আর হয়নি। গোটা দেশ তাকিয়ে ছিল মিরপুর স্টেডিয়ামের দিকে। ভারতকে হারিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ট্রফি জিতবে এই আশা ছিল ১৬ কোটি মানুষের। এক সময় ভারতের কাছে পাত্তাই পেত না। এখন ভিন্ন চিত্র, বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে দুই আম্পায়ার পক্ষপাতিত্ব না করলে সেমিতে খেলার উজ্জ্বল সম্ভাবনা ছিল। কীভাবে বাংলাদেশকে হারানো হয়েছিল তা বিশ্ববাসী দেখেছে।
যাক এই প্রতিশোধ নিয়েছে জুনে ঢাকায় ওয়ানডে সিরিজ জিতে। এক মুস্তাফিজই উড়িয়ে দিয়েছিলেন ভারতকে। বিশ্বখ্যাত ব্যাটসম্যানদের নিয়ে ছেলেখেলা খেলেছে এই তরুণ। তবে বাংলাদেশ চেয়েছিল এশিয়া কাপে হারিয়ে ক্ষোভের আগুনটা ভালোভাবে নেভাতে। তার আর হলো কই? ৮ উইকেটে হেরে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থেকেছে। ট্রফি জেতার আশা অপূর্ণই থেকে গেছে। ক্রিকেটপ্রেমীদের বিশ্লেষণ মুস্তাফিজ খেললে ভারত এতটা সহজে পার পেত না। না ক্রিকেটপ্রেমী নয়, ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিও বলেছেন একই কথা। শিরোপা জেতার পর বললেন, ১৫ ওভারে বাংলাদেশ বড় ধরনের টার্গেট ছুড়ে দিয়েছিল। আমরা তা সহজে পেরুতে পেরেছি ঠিকই। কিন্তু মুস্তাফিজ খেললে আমরা এতটা স্বস্তি নিয়ে ব্যাট করতে পারতাম কিনা সন্দেহ ছিল। ১৫ ওভারে ১২১ রান টার্গেট ছিল অনেক বড়।
এ অবস্থায় মুস্তাফিজ খেললে ভারত চাপে থাকত। কারণ ওর বল বোঝা যায় না। ওর বল মোকাবিলা করার সময় চাপে থাকত ব্যাটসম্যানরা। দ্রুত উইকেট পড়ে গেলে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ রাখা অসম্ভব হয়ে উঠত। তাই মুস্তাফিজ ছিল না বলেই স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাট করতে পেরেছে ভারত।