
ভয়েস অব সাতক্ষীরা ডটকম ডেস্ক ;
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে খুলনা আসছেন। তার সফর উপলক্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে খুলনাকে। সাদা পোশাকে নিরাপত্তা সদস্য, দুই হাজার পুলিশ সদস্য এবং র্যাবের আটটি বিশেষ টিম নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে।
সরেজমিনে রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে দেখো যায়, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) নগরীর প্রবেশদ্বার ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়েছে। নগরীতে টহল দিচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিমসহ র্যাব-বিজিবির সদস্য। রূপসা নদীতেও নিরাপত্তা জোরদার করেছে কোস্টগার্ড। সবখানে সন্দেহভাজনদের করা হচ্ছে তল্লাশি।
কেএমপির মুখপাত্র ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বাংলানিউজকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে খুলনাকে। পুলিশের দুই হাজার সদস্য মাঠে রয়েছে। প্রথম দলটি শুক্রবার বিকেল থেকে মাঠে নেমেছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চেকপোস্ট ছাড়াও প্রবেশদ্বার সিল করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, দ্বিতীয় দলটি রোববার সকাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর যাতায়াতের সড়ক রুটের দুইপাশে, উঁচু ভবনে অবস্থান নিয়েছে। র্যাবের আটটি টিম নিরাপত্তার কাজে যোগ দিয়েছে। এছাড়া নৌপথের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে কোস্টগার্ড।
নৌবাহিনী সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী রোববার (৬ আগস্ট) বেলা ১১টায় মংলার নৌ-ঘাঁটিতে বানৌজা খানজাহান আলী, বানৌজা সন্দ্বীপ ও বানৌজা হাতিয়া কমিশনিং করবেন। দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে শিপইয়ার্ডে দু’টি লার্জ পেট্রোল ক্রাফট নির্মাণ কাজ ও একটি কনটেইনার ভেসেলের উদ্বোধন করবেন।
এদিকে, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ নৌবাহিনীর গেট থেকে শিপইয়ার্ড পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি না থাকলেও দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসব বিরাজ করছে।
টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটাই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম খুলনা সফর। এর আগে, ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি খুলনায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।—সুত্র:-বাংলানিউজ