
ভয়েস অব সাতক্ষীরা ডটকম ডেস্ক :
লিবিয়ায় আইএস জঙ্গিদের গুলিতে বাংলাদেশের হবিগঞ্জের এবং বরিশালের দুই যুবকের মৃত্যুর খবর এসেছে তাদের স্বজনদের কাছে।
তারা হলেন মো. মোসলেহ উদ্দিন ও আরিফুল করিম সিদ্দিক। মোসলেহর বাড়ি হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার চিকনপুর গ্রামে। আরিফের বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের লোহালিয়া গ্রামে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে তিনিসহ দুজন আজদাবিয়া এলাকায় আইএস জঙ্গিদের হামলার শিকার হন বলে দুই যুবকের পরিবার পরিচিত প্রবাসীদের টেলিফোনের মাধ্যমে জানতে পেরেছে।
লাশ দেশে আনতে সরকারের পদক্ষেপ চেয়েছে দুই যুবকের পরিবার।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি জানান, হবিগঞ্জের চিকনপুর গ্রামের মো. আব্দুল বাছিরের ছেলে মোসলেহ ছোটবেলা থেকেই থাকতেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসির নগর উপজেলার দাঁতমন্ডল গ্রামে মামা ওয়াহেদ উল্লাহর বাড়িতে।
ওয়াহেদের পরিবারের সদস্যদের উদ্ধৃত করে নাসির নগরের দাঁতমন্ডল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাফিজ মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আইএস জঙ্গিদের গুলিতে মোসলেহ উদ্দিনের মৃত্যুর খবর আসার পর তার স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।”
গত বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা গ্রামের লিবিয়া প্রবাসী মো. রফিকের মাধ্যমে মৃত্যুর খবরটি আসে বলে জানান রাফিজ মিয়া।
মোসলেহ উদ্দিনের বড় ভাই মো. মোতালিব জানান, গত তিন বছর ধরে তিনি লিবিয়ার আল কুফরা সিটিতে বসবাস করতেন।
“ঈদের ছুটিতে গত মঙ্গলবার দুপুরে মোসলেহ উদ্দিন, বরিশালের আরিফুর রহমান সিদ্দিকসহ চার বন্ধু আজদাবিয়া এলাকায় ঘুরতে যান। তখন জঙ্গিরা গুলি করলে দুজন গুলিবিদ্ধ হন।”
বরিশাল প্রতিনিধি জানান, আরিফুলের প্রবাসী বন্ধু জামালপুর জেলার বিল্লাল মিয়ার মাধ্যমে পরিবারের কাছে এই মৃত্যুর খবর আসে।
আরিফুল লোহালিয়া গ্রামের আবুল কালাম মাস্টার ও রাবেয়া বেগমের পাঁচ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়। মৃত্যুর খবর শুনে বরিশালের পুলিশ সুপার এসএম আক্তারুজ্জামান তার বাড়িতে যান।
আরিফের ছোট ভাই আনিছুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সংসারে আর্থিক সচ্ছলতা ফেরাতে ৫ বছর আগে ২০১০ সালে সুদানে পাড়ি জমান তার ভাই আরিফুল। সেখান থেকে চার বছর আগে যান লিবিয়ায়।
রাবেয়া বেগম জানান, সোমবার তার সঙ্গে আরিফুলের শেষ কথা হয়। এর দুদিন পর আসে মৃত্যুর খবর।