শ্যামনগরের গাবুরায় বিএনপি প্রার্থীর প্রচারণায় বাধাসৃষ্টি : প্রাণ নাশের হুমকি !


334 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
শ্যামনগরের গাবুরায় বিএনপি প্রার্থীর প্রচারণায় বাধাসৃষ্টি : প্রাণ নাশের হুমকি !
মার্চ ৬, ২০১৬ ফটো গ্যালারি শ্যামনগর
Print Friendly, PDF & Email

আসাদুজ্জামান :
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ১২ নং গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী কর্তৃক নির্বাচনী আচারণবিধি লংঘন ও প্রতিপক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি’র প্রার্থীর প্রচার প্রচারণায় বাধাসৃষ্টি করে নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনার প্রতিকার চেয়ে বিএনপি’র দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী জি, এম, মাসুদুল আলম গতকাল রোববার সংশ্লিষ্ট রির্টানিং অফিসার শ্যামনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে মাসুদুল আলম বলেন, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি শ্যামনগর উপজেলার ১২ নং গাবুরা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কিন্তু তার প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আ’লীগ মনোনিত প্রার্থী আলী আজম টিটু ও তার লোকজন নির্বাচনী আচারণবিধি লংঘন করে জনসভা, মিছিল ও মটরসাইকেল সোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তিনি (টিটু) ঘোষনা দিয়ে বলছেন যে, কোন লোককে বুথের মধ্যে গিয়ে ভোট দিতে হবে না, তাকে প্রকাশ্যে টেবিলের উপর ব্যালট রেখে নৌকা প্রতীকে ছিল মারতে হবে। এর ব্যাত্যয় হলে তাকে দেখে নেয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
লিখিত অভিযোগে তিনি আরো বলেন, ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে তার কোন লোককে মাঠে নামতে দিচ্ছেন না টিটু ও তার লোকজন। ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কোন লোকজন মাঠে নামলে তাকে জাল টাকা ও বোমা দিয়ে বিভিন্ন মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি জীবন নাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ছিড়ে দেয়া হচ্ছে এলাকায় লাগানো ধানের শীষের পোষ্টার, ব্যানার, ফেষ্টুনসহ যাবতীয় কাগজপত্র। ফলে আ’লীগ প্রার্থীর ভয়ে তার কোন লোকজন নির্বাচনী মাঠে নামতে সাহস পাচ্ছে না। এমনকি প্রার্থী হিসাবে তিনি নিজেও জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছেন। তিনি যাতে তার লোকজন নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে মাঠে ময়দানে থেকে স্বাভাবিক নির্বাচনী কার্যক্রম চালাতে পারেন সে জন্য রির্টানিং অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা নির্বাচনী অফিসার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।