
স্টাফ রিপোর্টার :
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ৬নং রমজাননগরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক ফলাফল কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ তুলে ধরেন, উক্ত ইউনিয়নের বিএনপি প্রার্থী আকবর আলীর বড় ভাই এ্যাডঃ ফজলুল হক।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২২ মার্চ ইউপি নির্বাচনে তার ছোট ভাই আকবর আলী ৬নং রমজাননগর ইউনিয়নে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মোট ৪১৮৮ ভোট পান এবং তার প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী শেখ আল মামুন ঘোড়া প্রতিক নিয়ে মোট ভোট পান ৪১৭১। অর্থ্যাৎ তার ছোট ভাই ধানের শীষ প্রার্থী আকবর আলী ১৮ ভোটে বিজয়ী হন। কিন্তুু উক্ত ইউনিয়নে ১৮ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে রমজাননগর সরঃ প্রাঃ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মুন্সি আব্দুর রব ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী শেখ আল মামুনের পক্ষ নিয়ে ফলাফল কারচুপি করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন রমজাননগর সরঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ভোট গননা শেষে প্রথমে যে শীট প্রদান করা হয় সেই শীটে ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থী শেখ আল মামুন এবং প্রিজাইডিং অফিসারের সহিকৃত শীটে ধানের শীষ প্রতিকে ৫৮৪ এবং ঘোড়া প্রতীক ১৩১১ ভোট প্রাপ্ত হন। উক্ত স্বাক্ষরিত শীটটি ধানের শীষের প্রার্থী আকবর আলীর এজেন্ট আবু হানিফের কাছে দেয়া হলে তিনি কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যান। এর পর শেখ আল মামুন উক্ত কেন্দ্রে অবস্থান করতে থাকেন। এক পর্যায়ে বাহিরে ৩/৪ শত লোক লাঠিসোটা নিয়ে ঘোড়া প্রতীক জয়ী বলে শ্লোগান দিতে থাকেন। পূর্ব পরিচিত প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে শেখ আল মামুন নির্বাচনী কারচুপির এক গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। এক পর্যাযে ফলাফল শীটে ফ্লুইড মেরে ধানের শীষের ভোট ৫৮৪ এর স্থলে ৫৫৭ করিয়া দেন এবং ঘোড়া প্রতীকের ভোট ১৩১১ এর স্থলে ১৩৩৫ করিয়া দেন। বিশ্বাস যোগ্যতা স্থাপনের জন্য অভিনব পন্থায় নৌকা প্রার্থীর ভোট ৫১ এর স্থলে ৫২ করিয়া দেন। আনারস প্রতীকের ভোট ৪৫ এর স্থলে ৪৬ করিয়া দেন। বিন্ষ্ট বাতিল ভোট ৩৪ এর স্থলে ৩৫ করিয়া দেন। এই ভাবে ধানের শীষ প্রতীককে ৩৩ ভোটে হারাইয়া দেওয়ার শীট তৈরি করিয়া গভীর রাতে প্রিজাইডিং অফিসার নির্বাচনী ফলাফল ঘোষনার স্থলে পৌছান। সেখানে উক্ত রুপ পরিবর্তিত ফ্লুইড মারা শীটটি উপস্থাপন করেন। তাৎক্ষনিকভাবে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আকবর আলী এজেন্টের মাধ্যমে প্রাপ্ত রমজাননগর সরঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রথম শীটসহ এক দরখাস্ত রিটানিং অফিসারের কাছে দাখিল করেন। তদসত্বেও রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসার ডাঃ সঞ্চয় বিশ্বাস গভীর রাতে পরিবর্তিত ফ্লুইড মারা শীট দৃষ্টে শেখ আল মামুনকে ৩৩ ভোটে বিজয়ী ঘোষনা করেন। এরপর ধানের শীষের প্রার্থী আকবর আলী অডিটরিয়াম হইতে বাইরে বের হওয়ার সাথে তার কাছে কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত এজেন্টের দেওয়া অরিজিনাল শীটটি দিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। এরপর শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সামনে শেখ আল মামুনের ভাই মহসিন উজ্জল এবং আরো কয়েকজন আকবর আলী ও তার ছেলে শাহজান এবং ভাইপো আব্দুল মতিন মিন্টুকে ব্যাপক মারপিট করেন। পরে আকবর আলীর শ্যালক সাব্বির আহমেদ প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে মোবাইলে কথা বলেন। উক্ত কথা বলার সিডিও সংরক্ষিত আছে।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে জানাইলে যেকোন প্রিজাইডিং অফিসার বা ডিউটিরত পুলিশ অফিসার দ্বারা শেখ আল মামুন তার ছোট ভাই আকবর আলীসহ তার পরিবারের লোকজনের নামে থানায় মিথ্যা মামালা দেবে বলে হুমকি প্রদান করেন। তিনি এ সময় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে বিধিগত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে এসময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, চাচা মুজিবর রহমান, ও মিজানুর রহমান এবং ভাই আইয়ূব আলী।
##