
এস কে সিরাজ,শ্যামনগর :
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সেই আলোচিত সাবেক সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা গাজী মনিরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নিতী ও মোটা টাকার বিনিময় একের জমি অন্যকে প্রদান করাi অভিযোগে সোমবার দুপুরে শ্যামনগর সেটেলমেন্ট কার্যালয়ে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে আসেন, খুলনা জোনাল অফিসার সরদার শাহ আলম। তিনি শ্যামনগরে আসতেই শতশত ভুক্তভোগী নারী পুরুষ জড়ো হয়ে শ্যামনগর সেটেলমেন্ট অফিসের তদন্তে স্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের করুন কাহিনী নিজ জমাজমি থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রের কথা অকপটে বর্ননা করেন। তারা বলেন উপজেলার ইশ্বরীপুর ইউনিয়নের ধুমঘাট মৌজার ৪৮.৯৭ একর জমি ৮৫৯০/৯৮ নং আপিল কেসের মাধ্যমে প্রায় ১৬ লাখ টাকা নিয়ে প্রতিপক্ষ শ্যামনগরের এক প্রভাবশালী ভাটা মালিককে প্রদান করেন। গোপনে লাখ লাখ টাকা লেন দেনের মাধ্যমে রেকর্ড কিপার জাকির হোসেনের সহযোগীতায় রেকর্ড প্রদান করা হয় ওই প্রভাবশালী মহল কে। এদিকে ১৬ লাখ টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মনদন্ধ হওয়ার এক পর্য্যায় প্রকৃত জমির মালকিদের কাছে এ গোপন তথ্য ফাস করা হয়। এধরনের জাল জালিয়াতীর সকল রহস্য জানার পর পরই ধুমঘাট এলাকার জমির মালিকরা খুলনা সেটেলমেন্ট জোনাল অফিসে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে ততকালীন শ্যামনগরে থাকা আলোচিত সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা গাজী মনিরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে তদন্তে আসেন জোনাল কর্মকর্তা।এসময় ওই দুর্নিতীবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া সহ সকল অবৈধ রেকর্ড বাতিলের দাবীতে সেটেলমেন্ট ও প্রেসক্লাবেরর সামনে ভুক্তভোগীরা মানববন্ধন করে এর প্রতিবাদ জানান। এদিকে গাজী মনিরুজ্জামান এর ওই সময়কার প্রধান হাতিয়ার এবং দুর্নীতি করার সেরা মাধ্যম রেকর্ড কিপার মোঃ জাকির হোসেন এখন শ্যামনগরে বহাল তবিয়্যাতে। শ্যামনগরের দুর জনপদ থেকে আসা ভুক্তভোগী নারী পুরুষ সকলে শ্লোগান সহকারে বলেন,ঘুষের ১৬ লাখ টাকার মধ্যে চার লাখ টাকা নিয়েছিল রেকর্ড কিপার জাকির। তবে বর্তমানে সে শ্যামনগরে বহাল তবিয়্যাতে তার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। তার কাছে সঠিক ভাবে জানা বোঝা করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। এদিকে শতশত সাধারন মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং এর প্রতিকারে তদন্তে আসায় সাতক্ষীরা-৪ আসনের মাননীয় এম পি এস এম জগলুল হায়দার দুষি ব্যক্তিদের শাস্তির নির্দেশ দিয়েছেন এবং জালিয়াতীর এঘটনায় তিনি নিন্দা জানিয়েছেন।