
স্টাফ রিপোর্টার ::
আদালতে একটি মামলা থাকা এবং মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের চিঠি অনুযায়ী আইনগত বাধা থাকা সত্ত্বেও শ্যামনগরের সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে কাল মঙ্গলবার নিয়োগ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে এলাকা জুড়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
এ বিদ্যালয়ের অভিভাবক ক্যাটেগরির সদস্য মো. রবিউল ইসলাম রোববার বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই নিয়োগ বন্ধের আহবান জানিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে রবিউল ইসলাম বলেন উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগ বিষয়ে আদালতে একটি মামলা করেছেন তিনি। এর ভিত্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের ২১ ডিসেম্বর তারিখের ৪ জি ৪১ তম/ ১৩-১৬৪০৭ স্মারকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে আইনগত বাধা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন তা সত্ত্বেও কমিটির সভাপতি জিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আজিজুর রহমান তাদের পছন্দের লোককে বেআইনিভাবে নিয়োগ দেওয়ার যাবতীয় কাজ শেষ করেছেন। তিনি বলেন এরই মধ্যে একটি পাতানো নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ১১ জন আবেদনকারীর মধ্যে দুলাল কৃষ্ণ মিস্ত্রি ও আরিফা এদিব চৌধুরী বাদে নয় জনের নামে প্রবেশপত্র পাঠানো হয়েছে। লোক দেখানোভাবে তাদেরকে প্রবেশপত্র দেওয়া হলেও ওই বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা শিক্ষক সালাউউদ্দিন আহমেদকে প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দানের লক্ষ্যে তার কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে মোটা অংকের টাকা।
রবিউল ইসলাম বলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমানের চাকুরির মেয়াদ শেষ হবে ১৬ মার্চ। আর ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হবে ১৮ মার্চ। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে অবৈধ নিয়োগ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে তড়িঘড়ি করে তারা কাল ১৩ মার্চ শ্যামনগর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ে বিকাল ৩ টায় পাতানো নিয়োগ পরিক্ষার আয়োজন করেছেন।
এর প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন আমি জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন দিয়েছি যাতে অবৈধ নিয়োগ সম্পন্ন করতে না পারে । জেলা প্রশাসক জেলা শিক্ষা অফিসারকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আবারও জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন ‘ এই অবৈধ নিয়োগ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন।
##