শ্যামনগরে টানা বর্ষনে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ জলাবন্ধতা । বীজতলা পানির নিচে। কৃষকরা বিপাকে


503 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
শ্যামনগরে টানা বর্ষনে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ জলাবন্ধতা । বীজতলা পানির নিচে। কৃষকরা বিপাকে
জুলাই ২৬, ২০১৫ শ্যামনগর
Print Friendly, PDF & Email

এস কে সিরাজ , শ্যামনগর :
পুরো আষাঢ় মাস জুড়ে টানা বর্ষনে আবাদী জমিতে জলাবদ্ধতার কারনে শ্যামনগরে আমন চাষীরা বীজতলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। ইতিমধ্যে চাষীদের বীজতলা দু’দফা নষ্ট হয়ে গেছে। নি¤œচাপের কারনে বিরুপ আবহাওয়ায় চাষীরা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ। এদিকে, আমন ফসলের সময় ঘনিয়ে আসায় চাষীরা ষোল আনা ফসল উৎপাদনে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। রোববার শ্যামনগরে বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষকদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
শ্যামনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র মতে, চলতি বছরে ১৬ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্য মাত্রা নিদ্ধারণ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে উৎপাদন ৪.০৫ মেঃ টন। আমন মৌসুম শুরুতেই বিভিন্ন ইউনিয়নের চাষীরা প্রথম পর্যায়ে ১৫/২০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরী করেছিলেন।  কিন্তু অতি বৃষ্টিতে সম্পুর্ন নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় আবারও ৫/৬ শত হেক্টর জমিতে বীজ তলা তৈরী করেন। কিন্তু লাগাতার বর্ষায় আবারও নষ্ট হয়েগেছে। কৃষক আবুল হোসেন, আকবর ও হাফিজুর সহ অনেকেই বলেন, দু’দফা বীজতলা নষ্ট হওয়ায় আমন চাষাবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। কারন বাজার থেকে চড়া দামে বিভিন্ন জাতের ধান বীজ ক্রয় করে নষ্ট হওয়ায় অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি । তাছাড়া সময় মত আমন রোপন করতে না পারলে ষোলআনা ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধিতে লোকসানের সম্ভাবনা আছে। সার্বিক বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিজান মাহমৃদ বলেন, প্রাকৃতিক ভাবে অতিবৃষ্টির কারনে বীজ তলা নষ্ট হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ অব্যহত আছে। এদিকে অপরিকল্পিত ভাবে বসতায়নের ফলে ফসলী জমিতে জলাবদ্ধতার অন্যতম কারন। বিশেষ করে পানি নিষ্কাসনের পথ বন্ধ করে মৎস্য ঘেরসহ নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার কারনে জলাবদ্ধতা ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। প্রশাসনিক ভাবে বার বার বলা স্বর্থেও এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত আছেন।