
স্টাফ রিপোর্টার ঃ
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মাষ্টার্স পড়ুয়া এক ছাত্রী বখাটেদের অত্যাচার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
বখাটেদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলেও পুলিশ আসামীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নাম মাত্র তদন্ত করে মামলাটি ফাইনাল দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম বিড়ালক্ষী গ্রামের আব্দুল লতিফ সানার মেয়ে ও খুলনা বিএল কলেজের মাষ্টার্স পড়–য়া ছাত্রী মমতাজ পারভীন।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম বিড়ালক্ষী গ্রামের মৃত সুরাত আলী সানার ছেলে কামরুল ইসলাম, মৃত আমিনদ্দীন সানার ছেলে আব্দুর রহিম, মৃত কাদের সানার ছেলে আবুল বাসার, মৃত সুরাত আলী সানার ছেলে আব্দুর রশিদ ও একই উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের ফিরোজ মোড়লের ছেলে বিল্লাল হোসেন এলাকায় সংঘ বদ্ধ লম্পট ও নারী লোভী নামে পরিচিত।
আমার বৃদ্ধা পিতা, মাতা ছাড়া পরিবারের কেউ এখানে বসবাস না করার সুযোগে ২০০৬ সালে নওয়াবেকী ডিগ্রী কলেজে পড়া শুনা করা কালিন থেকে অদ্যবধি আসামীরা আমাকে পথে ঘাটে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে উক্তত্য করে। আমি তাদের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তারা দীর্ঘদিন ধরে আমাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ গুম ও অপহরনের হুমকী দিয়ে আসছে। সে সময় থানায় একটি জিডিও করেছিলাম।
এক পর্যায়ে চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারী সন্ধা আনুমানিক সাড়ে ৬ টার দিকে আমার বাড়ির উপরে টিউবওয়েলে পানি নেয়ার সময় আমাকে একা পেয়ে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আবুল বাসার ও রশিদের হুকুমে কামরুল, আব্দুর রহিম ও বিল্লাল আমার মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক তুলে পার্শ্বে বাস বাগানে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে। আমার আতœচিৎকারে আমার মা ফুলি বিবিসহ অন্যরা এগিয়ে আসলে তারা চলে যায়।
এঘটনায় আমি বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় উপরিলিখিত ব্যক্তিদের নামে একটি মামলা দায়ের করি। মামলা নং-১৬। পুলিশ এই মামলার আসামী বিল্লালকে আটক করে শ্যামনগর থানায় নিয়ে আসে। পরে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আসামীকে ছেড়ে দেয়া হয়। আসামীদের না ধরে তাদের সাথে প্রকাশ্যে নওয়াবেকী বাজারে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে চা খেতেও দেখা গেছে।
মামলার জড়িত থাকা আসামীদের কাছ থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহিদ মোটা অংকের টাকা নিয়ে নাম মাত্র তদন্ত করে মামলাটি ফাইনাল দেয়ার চেষ্টা চালাইতেছেন বলে তিনি এসময় আরো অভিযোগ করেন।
তিনি এসময় আসামীরা যে দূর্ব্যবহার করেছে তার জন্য তাদের শাস্তির দাবী জানান। একইসাথে আসামীদের কাছ থেকে পুলিশের মোটা অংকের টাকা নিয়ে মামলাটি ফাইনাল দেয়ার চেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাসহ আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জসিট দাখিল করতে উদ্ধর্তন পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
###