
শ্যামনগর ব্যুরো ঃ
শ্যামনগরের নূরনগর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওঃ বাবুল আক্তার হত্যার ঘাতকরা ধোরা ছোয়ার বাহির থেকে মামলাটি ভিন্নখ্যাতে প্রবাহিত করার পায়তারা বলছে বলে জানা গেছে। এজাহার ভুক্ত আসামীদের আটকের লক্ষ্যে পুলিশ সুপার মহাদয়ের হক্ষক্ষেপ কামনা করেছে বাদী পক্ষ সহ এলাকার সুধী মহল।
মামলা সূত্রে জানা গেছে গত ৩১/০৪/১৬ তারিখ দুপুরে পরিকল্পিত ভাবে উপজেলা নূরনগর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার রমজীবনপুর গ্রামের আনছার আলীর পুত্র মাওঃ বাবুল আক্তার কে একই প্রতিষ্ঠানের এম এল এস এস (পিয়ন) আবুল কালাম একাধিক ব্যক্তির পরিকল্পনায় হত্যা করে পালিয়ে যায়। একদিন পরে ঘাতক কালাম কে জনতা আটক করে পুলিশে সোপার্দ করে। জনতার হাতে আটক হওয়ার পর ঘাতক কালাম জন সম্মুখে একাধিক ব্যক্তির পরিকল্পনায় সুপারকে হত্যা করা হয় বলে জানায়। এদিকে সুপারের পিতা আনছার আলী বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় আবুল কালাম, ফরিদ উদ্দীন মাসুদ, সহকারী শিক্ষক মোঃ লিয়াকত হোসেন, মোঃ আবু তালেব, মহিবুল্যাহ ও কামালের স্ত্রী লাইলি খাতুনকে আসামী করে শ্যামনগর থানায় এজাহার দাখিল করে। এ ঘটনায় থানায় জি আর ৯৫/১৬ নং মামলা দায়ের হয়। এ দিকে মামলা রেকর্ডের পর প্রভাশালী আসামীরা মামলাটি ভিন্ন খ্যাতে প্রবাহিত করে মামলা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ষড়যন্ত্র করেছে বলে বাদী পক্ষরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার, শিক্ষক সমাজ, ছাত্র-ছাত্রী সংগঠন সহ সচেতন মহল পরিকল্পিত এ হত্যা কান্ডের আসল রহস্য বের করে ঘাতকদের আটকের জন্য জেলা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।