
এস কে সিরাজ,শ্যামনগর ::
দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষুড়িয়ে ক্ষুড়িয়ে চলছে শ্যামনগর হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা। ডাক্তার সংকটের কারনে চিকিৎসা সেবার মান শুন্যের কোটায় চলে এসেছে।
সুন্দরবন উপকুলীয় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার প্রায় সাড়ে চার লক্ষ মানুষের নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানটি হলো উপজেলা কমপ্লেক্স এর সামনে অবস্থিত সরকারী ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি।বেশ কয়েক বছর পুর্বে হাসপাতালটির চিকিৎসার মান নিয়ে বিভাগ ওয়ারী আলোচনার শীর্ষে ছিল। বিভাগের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান তৈরী করে নিয়েছিল হাসপাতালটি।
তবে হাসপাতালটির করুন চিত্র ভুক্তভোগি অসুস্থ রোগিরা বুঝতে বা জানতে বা দেখতে পেলেও নেই কারোর কোন মাথা ব্যাথা। প্রসাশন বা জনপ্রতিনিধিদদের কোন ভ্রপক্ষেপ না থাকার কারনে এই দুরাবস্থা বলে অনেকেই মনে করেন।
হাসপাতালটির প্রসাশনিক ব্যবস্থা একেবারই ভেঙ্গে পড়েছে। সম্প্রতি নতুন একজন টি এইস এ দ্বায়িত্বে থাকলেও সব কিছু চলে হাসপাতালের আরম আলোচিত ডাঃ আনিছুর রহমানের নির্দেশনায়। তার খারাপ আচারনে যেমন হাসপতালের কর্মরত সকল কর্মচারী ও রোগিরা অতিষ্ঠ। হাসপাতালের সরকারী চেম্বারে বসে টাকার বিনিময় রোগীদেখার একাধিক অভিযোগ ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। চিকিৎসার অবহেলার কারনে তরুন রোগির মৃত্যুর জের হিসাবে সম্প্রতি সাধারন জনতা তার চেম্বার ভাংচুর করে। ডাঃ আনিছুরের খুটির জোর না কি অনেক বেশী। তার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করতে সাহস পায়না। এছাড়া অভিযোগ করেও না কি কিছুই হয়না।তাই সম্প্রতি শ্যামনগরে দুদুকের এক সমাবেশে ক্ষতিগ্রস্থরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল কিন্ত তারপরও বহাল তবিয়্যাতে ডাঃ আনিছুর রহমান।তাকে অপসারন করা না হলে শ্যামনগর হাসপতালের চিকিৎসা সেবার মান ফিরে আসবেনা এটা বিশ্বাস করে সচেতন মহল।শ্যামনগরের হাজার হাজার দরিদ্র দুস্থ অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে আনিছ ডাক্তারের মত ব্যক্তিদের অপসারন করে ভাল ভাল ডাক্তারদের আনার ব্যবস্থা করা খুবই দরকার বলে শ্যামনগর বাসী মনে করেন। ৩৪ জন ডাক্তারের স্থলে ৪/৫ জন ডাক্তার দিয়ে হাসপতালের চিকিৎসা সেবা বাড়ানো সম্ভব নয়।এরপরও ডাক্তারদের রয়েছে ক্লিনিক ও প্যাথলজি প্রেম।
এদিকে হাসপতালের প্যাথলজি ও এক্সে বিভাগ টি থাকে সব সময় অকেজো।হাসপতাল থেকে দরিদ্র রোগিরা তেমন কোন সুবিধা পায় না। সরকারী ভাবে হাসপাতালে ভর্তিরত রোগিদের ফ্রি ঔষাধ দেয়ার কথা থাকলে ও নরমল দুই একটি ঔষাধ দিলেও দামী সিরাপ,ইনজেকশন ও এনটিবাইটিক জাতীয় অধিকাংশ ঔষাধ পাচার করা হয়ে থাকে।সরকারী ঔষাধ পাচারের বিষয়টি দীর্ঘ দিন ধরে চলছে বলে জানা গেছে। এদিকে অভিঞ নার্সদের বাদ দিয়ে পছন্দীয় নার্সদের দিয়ে চালানো হচ্ছে ডি এস এফ ও সার্জারী বিভাগটি।ডাঃ আনিছকে ম্যানেজ করে অনাভিঞ ও জুনিয়র নার্সরা এ বিভাগের দ্বায়িত্ব নিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। হাসপাতাল কে পুজি করে কোটিপতি বুনে যাওয়া ডাক্তার আনিছুর রহমান বহাল তবিয়্যাতে থাকলেও রোগিরা নেই ভাল।হাসপতালের কর্তৃৃপক্ষকে ম্যানেজ করে ডায়েট ঠিকাদার চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা ব্যবসা। দেশী রুই মাছের পরিবর্তে তেলাপিয়া, খাসির পরিবর্তে পলটি,ভাল মানের চাউল ও তেলের পরিবর্তে নিম্মমানের চাল, তেল প্রদান। হাসপতালের মত একটি গুরুপ্তপুর্ন প্রতিষ্টান তদারকির অভাবে একেবারই শেষ সীমানায় পৌছে গেছে।তবে কি হাসপাতালটি আগের অবস্থানে ফিরতে পারবে না? এ প্রশ্ন এখন শ্যামনগরের সচেতন মহলের।