
স্টাফ রিপোর্টার :
সাতক্ষীরার শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাস থেকে লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে তা আত্মসাতের ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল রহমান, কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুস সোবহানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। সম্প্রতি সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ওই কলেজের পরিচালনা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য বাঁশদহ গ্রামের আজিজুল হক। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
এদিকে, মামলা থেকে রেহায় পাওয়ার জন্য মামলার আসামিরা বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সাতক্ষীরার শীর্ষস্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ মামলার বাদির।
মামলার বাদি আজিজুর হক জানান, এমপিও ভূক্ত কোন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে গাছ কাটতে হলে তার একটি নিয়ম রয়েছে। সরকারি ভাবে ৪ সদস্যের একটি কমিটি রয়েছে। ওই কমিটির সভাপতি সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সদস্য সচিব সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং এই কমিটির সদস্য বন বিভাগের একজন কর্মকর্তা। গাছ কাটতে হলে ওই কমিটির সভাপতির কাছে আবেদন করতে হবে। সভাপতি আবেদন পাওয়ার পর বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে সরেজমিন পাঠাবেন। তিনি গাছ টাকা প্রয়োজন কি-না তা খতিয়ে দেখে কমিটির সভাপতির কাছে রিপোর্ট জমা দেয়ার পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কিন্তু শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজের গাছ কাটার ক্ষেত্রে সরকারি এসব নিয়ম তোয়াক্কা না করে কলেজের অধ্যক্ষ, জিবি কমিটির সভাপতি , সভাপতির ছেলে আলমঙ্গির কবিরসহ তাদের সহযোগিরা লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ৩টি গাছ কেটে তা আত্মসাৎ করেছে।
মামলার বিবরণে জানাগেছে, চলতি বছর ২৬ এপ্রিল সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাস থেকে কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল রহমান ও তার সহযোগিরা বৃহৎ আকৃতির ৩টি গাছ কেটে তা বিক্রি করে দেয়। যার মূল্য ১ লাখ ৫ হাজার টাকা। গাছ কাটার ক্ষেত্রে সরকারি নিয়মের কোন ধরণের তোয়াক্কা করা হয়নি।
এ ব্যাপারে ওই কলেজের প্রাক্তন জিবি সদস্য বাঁশদহ গ্রামের আজিজুল হক গত ১৯ মে বাদি হয়ে সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় কলেজ অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান, কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুস সোবহান, তার ছেলে আলমঙ্গির কবির, কলেজের শিক্ষক ইমামুল হকসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত ২৩ আগষ্ট মামলার ধার্য্য দিন ছিল। কিন্তু আসামি পক্ষ সময়ের আবেদন করলে আদালতের বিচারক আগামি ২৩ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য্য করেছে।
এলাকাবাসীর দাবি, কোন জনপ্রতিনিধি কোন মহলের হস্তক্ষেপ বা প্রভাব নয়, যথাযথ প্রক্রিয়ায় মাধ্যমেই এই মামলার ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে।