সব ধরনের কোচিং সেন্টার বেআইনি: শিক্ষামন্ত্রী


413 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
সব ধরনের কোচিং সেন্টার বেআইনি: শিক্ষামন্ত্রী
মার্চ ২৮, ২০১৮ জাতীয় ফটো গ্যালারি
Print Friendly, PDF & Email

অনলাইন ডেস্ক ::
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সব ধরনের কোচিং সেন্টার বেআইনি। উচ্চ আদালত কোচিং গাইড, নোট বই বেআইনি ঘোষণা করেছেন। বুধবার সচিবালয়ে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার তথ্য জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

কোচিং সেন্টার বন্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, ইচ্ছা করলেই সবকিছু বন্ধ করা যায় না। আমরা হয়তো কোচিং বন্ধ করতে পারি না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এটা বন্ধ করে থাকে।

তবে কোচিং গাইড, নোট বই—এসব বন্ধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও তিনি জানান।

আগামী ২ এপ্রিল সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৪ মে শেষ হবে। এ পরীক্ষা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে জানানো হয়।

এবার এইচএসসি’তে ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে; যা গতবারের চেয়ে এক লাখ ২৭ হাজার ৭৭১ জন বেশি।

আগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ায় এবার এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, কিছু সঙ্কট আমরা মোকোবেলা করছি। আগের থেকে আরও বেশি কঠোর অবস্থান নিয়েছি, অনেক বেশি ব্যবস্থা গ্রহণ ও অনেক পদ্ধতি অ্যাপ্লাই করছি।

এবার প্রতিটি পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে লটারির মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের সেট নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়া এসএসসি’র মতো পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ বাধ্যতামূলক করেছে। পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন বা ডিজিটাল ডিভাইস বহনে নিষেধাজ্ঞাও আগের মতোই বহাল থাকছে।

এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় ৫২টি মামলায় ১৫৭ জন গ্রেপ্তার রয়েছে। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে যেসব শিক্ষক ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, তাদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।