
গোপাল কুমার, আশাশুনি :
আশাশুনির খোলপেটুয়া ৪নং পোন্ডারের নদীর ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ অবশেষে সহস্রাধি শ্রমিকের স্বেচ্ছাশ্রমে উপজেলা চেয়ারম্যানের ও ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের সার্বিক প্রচেষ্টা শেষ রক্ষা হয়েছে। সরেজমিনে ভাঙ্গন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ৩৬ ঘন্টা পর উপজেলা চেয়ারম্যানের এবিএম মোস্তাকিমের নেতৃত্বে এলাকাবাসীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রাথমিক ভাবে মেরামত করা সম্ভব হয়েছে। এতে নদীর পার্শ্বে বসবাকৃত মানুষের আতঙ্ক কম হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের সঙ্গী হিসাবে সদর ইউপি চেয়ারম্যান সম সেলিম রেজা মিলন ও আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম উপস্থিত ছিলেন। তবে ৬ গ্রামে সহ¯্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে শত শত মৎস্য ঘের ও লক্ষ লক্ষ টাকার মৎস্য সম্পদ। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার। তবে চোখে পড়ার মত শ্রমিকদের সাথে কাজ করেছেন প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন, শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিলকে। তবে বাধ রক্ষায়ও বসে থাকেনি মহিষকুড় বিজিএম ক্লাবের সভাপতি সহ সদস্যগণও। সকলের সার্বিক সহযোগিতায় বাধটি মেরামত করা সম্ভব হয়েছে। প্রসঙ্গত শনিবার রাত্রে কোলা গ্রামের খোলপেটুয়া নদীর বেড়ীবাধ ভেঙ্গে ৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়। প্রায় ১২শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ২৫/৩০টি কাচা ঘর বিধ্বস্ত হয়। রবিবার সকালে বাঁধ আটকানোর চেষ্টা করা হয় সাড়ে ১১টার দিকে আবারও প্লাবিত হয়। সর্বশেষ গতকাল ভোর থেকে নতুন করে কাজ শুরু করে দুপুর ১টার দিকে জোয়ারের পানি আটকানো হয়েছে। বর্তমানে বাধটি মেরামতের কাজ চলছে।