
হেলাল উদ্দীন,সাগরদাঁড়ী থেকে ফিরে ::
“হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন এবং শতত হে নদ তুমি পড় মোর মনে। কবির মনে পড়া, মনে রাখা সেই কপোতাক্ষ তীরের আম্রকাননে মহোৎসব হবে এবার প্রশাসনের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে।মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত আধুনিক বাংলার সার্থক স্রাষ্টা মাইকেল মধুসূদন দত্ত তার অপরিমেও মেধা ও প্রতিভার সোনালী স্পর্শে বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন দিক সমৃদ্ধ করে গিয়েছিলেন।তিনি স্বতন্ত্র কাব্যরীতি,বিষয়বস্তু, দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিপ্লবী সত্বার উজ্জ্বল উদ্ভাসন আজ ও আমাদের কাছে সমান প্রাসঙ্গিক। অমর কাব্য রীতির জন্য তিনি বাঙ্গালীর হৃদয়ে চির অস্লান হয়ে থাকবেন। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত জন্ম গ্রহন করেন ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জানুয়ারী।বাংলা ১২ই মাঘ ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি মধুসূদন দত্তের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য নিজ বাড়ী যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ীর পুর্নভূমিতে এবার কোন টেন্ডার ডাক ছাড়াই সরাসরি প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আগামি ২২ জানুয়ারী শুরু হচ্ছে মহাকবি মাইকেল মধুসুদন দত্তের ১৯৫ তম জন্ম জয়জন্তী উপলক্ষে ৭দিনব্যাপী মধু-উৎসব মধুমেলা ২০১৯। ২২ জানুয়ারী শুরু হয়ে চলবে ২৮ জানুয়ারী পর্যন্ত।
তাই কবির জন্মজয়ন্তী ও মধুমেলা উদযাপন স্বার্থক করতে আয়োজক কমিটি ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছে। আর মধুপল্লীকে নতুন সাজে সাজতে ফুসরত নেই যেন পরিচ্ছন্ন কর্মীদেরও। সরেজমিনে সাগরদাঁড়ীর মধুপল্লী ঘুরে দেখাগেছে, কবির মাতৃভূমি পিতৃভূমির প্রতিটি স্থানকে পর্যাটকদের জন্য আকর্ষনীয় করে তোলার জন্য রংতুলির পরশ বুলাতে ব্যাস্ত সময় পার করছে শিল্পী ও পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। আগামি ২৫ জানুয়ারী কবির জন্ম দিন হলেও এসএসসি পরিক্ষার কারনে এবার মেলা আয়োজক কমিটি ২২ জানুয়ারী মেলা শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই আগে ভাগে শরু হয়েছে তোড়-জোড়।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান সাগরদাঁড়ী মধুপল্লীর কাষ্টডিয়ান মোঃ মহিদুল ইসলাম বলেন আগামী ২২ জানুয়ারী শুরু হতে যাচ্ছে মহাকবি মাইকেল মধুসুদন দত্তের ১৯৫তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে মধুমেলা ২০১৯। তাই আমরা সকলেই দিনরাত চেষ্টা করে যাচ্ছি মধুপল্লীর শোভাবর্ধনের জন্য। মেলা শুরু হওয়ার আগেই সকল প্রস্তুতি শেষ হয়ে যাবে আশা করছি। তিনি আরো বলেন অন্য বছরের চেয়ে এবার অধিক সংখ্যক ভক্ত ও পর্যটকের সমাগম ঘটবে। ইতিমধ্যে আমাদের সিংহভাগ কাজ শেষ হয়ে গছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান বলেন,এবারের মধুমেলায় কোন অশ্লীলতা থকবেনা। মেলা থাকবে সম্পুর্ণ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে।