
ভয়েস অব সাতক্ষীরা ডটকম ডেস্ক :
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে সাগরে গোসল করতে গিয়ে আজ রোববার নিখোঁজ হয়েছেন মো. ফারুক (৩০) নামের ঢাকার একজন পর্যটক। একই সময় সাগরে ডুবে যাওয়া তাঁর পরিবারের অন্য পাঁচ সদস্যকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মো. রুবেল (১৭) নামের স্থানীয় এক কিশোরের লাশও উদ্ধার করা হয়েছে সমুদ্র থেকে।
নিখোঁজ মো. ফারুকের বাড়ি ঢাকার পরীবাগে। ঈদের দিন স্ত্রীসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যকে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন তিনি। ওঠেন শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দুরে প্যাচারদ্বীপ ‘মারমেইড ইকো বিচ রিসোর্টে’।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ বলেন, স্ত্রী ও বাবা-মাসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যকে নিয়ে রিসোর্টের সামনের সৈকত থেকে গোসল করতে নামেন ফারুক। এ সময় সাগরের উত্তাল জোয়ারের ধাক্কায় সাগরে ডুবে যান সবাই। স্থানীয় লোকজন ও স্বেচ্ছাসেবকেরা দ্রুত পাঁচজনকে উদ্ধার করলেও ফারুক নিখোঁজ থাকেন। পুলিশের নেতৃত্বে দমকল বাহিনী ও স্থানীয় ডুবুরিরা তাঁর সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন।
রিসোর্টের ব্যবস্থাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, বিকেল চারটা পর্যন্ত ফারুকের খোঁজ মেলেনি। ঈদের দিন সকালে ফারুক পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এই রিসোর্টে আসেন। আজ বেলা আড়াইটার দিকে তাঁরা সৈকত ভ্রমণে গিয়ে এই বিপদে পড়েন।
এদিকে বেলা দুইটার দিকে ইনানী সৈকতে মারা গেছে স্থানীয় কিশোর রুবেল। পুলিশের নেতৃত্বে স্থানীয় লোকজন বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তার লাশ উদ্ধার করেন। তার বাড়ি কক্সবাজার সদর উপজেলার নাপিতখালী গ্রামে।
জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, ইনানী সৈকতে ফুটবল খেলার সময় রুবেল পাশের খালে পড়ে যায়। এ সময় খালের ওপর দিয়ে পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলে সে সাগরে তলিয়ে যায়। পরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, ভারী বর্ষণ ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সাগর এখন প্রচণ্ড রকম উত্তাল। এ সময় জোয়ার-ভাটার হিসাব করে পর্যটকদের সমুদ্রে নামার অনুরোধ জানান তিনি।
ঈদের আগের দিন ১৭ জুলাই সৈকতের শৈবাল পয়েন্টে ডুবে নিখোঁজ হয়েছেন, শহরের চাউলবাজার সড়কের ক্য ম্যো হিন, ওয়াইন রাখাইন ও টেকপাড়ার ইমন চৌধুরী নামে রাখাইন সম্প্রদায়ের তিন তরুণ। এদের মধ্যে ইমন ও ক্য ম্যো হিন রাখাইনের মরদেহ উদ্ধার হলেও ওয়াইন রাখাইনের খোঁজ আজ বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ওয়াইন চালবাজার সড়কের ন্যু-রি রাখাইনের ছেলে।