
স্টাফ রিপোর্টার ::
সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় “সাতক্ষীরায় ছাত্রলীগে ছাত্র নেই” শিরোনামে বিবাহিত ও অছাত্রদের নিয়ে একটি স্বচিত্র প্রতিবেদক প্রকাশ করা হয়। সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর গোটা সাতক্ষীরা জুড়ে ছাত্রলীগে তোলপাড় শুরু হয়। হন্নে হয়ে হায়নার মত প্রতিবেদক আকরামুল ইসলামকে খুজতে থাকেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষনিক যোগাযোগ করা হয় বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম জাকির হুসাইনের সাথে। তিনি জানান, সত্য সংবাদ প্রকাশ করায় যদি কোন সাংবাদিকে লাঞ্চিত করা হয় তবে তাৎক্ষনিক সেই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম জাকির হুসাইন তিনি আরো বলেন, সাতক্ষীরার সার্বিক বিষয়গুলো আমরা অবগত রয়েছি। যারা বিবাহিত ও অছাত্র তাদের তালিকা ইতোমধ্যে করা হয়েছে। খুব শিঘ্রই সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি করা হবে।
এসব ঘটনায় সাতক্ষীরা ছাত্রলীগের যে সকল বিবাহিত নেতারা রয়েছেন তারা ফুলে তেলে বেগুন। বর্তমানে রাজুর ফেসবুক আইডিতে আপত্তিকর বক্তব্য ও ভূয়া ছবি ব্যবহার করে প্রতিবেদক আকরামুল ইসলামের নাম ব্যবহার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের অনেক নেতারা বলছেন, পদ হারানোর ভয়ে পাগল হয়ে গেছে ছাত্রলীগের এই নেতাসহ বিবাহিত সকল নেতারাই।
এসব বিষয়ে প্রতিবেদক আকরামুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের কথিত ও বিতর্কিত এইসব নেতার ফেসবুক আইডিতে যেসব আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করে আমার নাম ব্যবহার করা হচ্ছে তা কাল্পনিক ছাড়া আর কিছু নয়। পদ হারানোর ভয়ে নিজেরাই বেসামাল হয়ে পড়েছেন। তবে এসকল বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান প্রতিবেদক আকরামুল ইসলাম।
বিষয়গুলো অবহিত করা হলে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মারুফ আহম্মেদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে যে যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সাতক্ষীরার বিষয়গুলো আমরা অবগত। খুব দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।