
বি. এম. জুলফিকার রায়হান ::
একদিন পার না হতেই তালা উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে ফের হাঙ্গামা হয়েছে । এতে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারি, চেয়ার ছুড়াছুড়ি এবং কিল ঘুষি বসানোর মতো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। হাঙ্গামায় অন্তত: ৩০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার, ভাইস চেয়ারম্যান ইখতিয়ার উদ্দিন, তার ভাই সরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, তালা ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রবিউল ইসলাম মুক্তি ও শিমুল।

জানা গেছে, গত শনিবারের ঘোষনা অনুযায়ী (আজ ২৭ জানুয়ারী) রোববার তালা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বেলা ১১ টায় দলের বর্ধিত সভা বসে। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ। ফিরোজ জানান চেয়ারম্যান পদে আমরা তিনটি নাম সিলেকশন দিয়ে বিষয়টির নিষ্পত্তি করেছি। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদ নিয়ে শুরু হয় হাঙ্গামা। এই পদে ছয় প্রার্থীর দুইজন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ইকতিয়ার উদ্দিন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক মসিয়ার রহমান সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় তুলকালাম। তারা দুইজন দুই ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থক। তাদের কার নাম প্রথমে লিখে কেন্দ্রে পাঠানো হবে, না হবে তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় হৈ হুল্লোড়। চেয়ার নিয়ে মারপিট, ভাংচুর ও কিল ঘুষি পড়তে থাকে। তুমুল হট্টগোলের মধ্যে মারপিট শুরু হলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। শুরু হয় লাঠিচার্জ। এর ফলে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা ভন্ডুল হয়ে যায়।

উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার জানান, আজকের ঘটনা ছিল অনাকাংখিত। সব কিছু ভোটে ছেড়ে দিলে এসব ঘটনা ঘটতো না। তিনি বলেন সিদ্ধান্তহীনতার মধ্যেই শেষ হয়েছে আজকের সভা।

এর আগে গত শনিবার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মনোনয়ন ভোটাভুটির মাধ্যমে হবে কি হবে না এই বিতর্কের জেরে তালার কাউন্সিল অধিবেশন ভন্ডুল হয়ে গেলে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনসুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো: নজরুল ইসলামসহ জেলা নেতারা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন। টানা আড়াই ঘন্টা তারা নিজেদের গাড়িতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। রোববার ভোটাভুটি হবে এই ঘোষনা দেওয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয়।
এ ব্যাপারে তালা থানার ওসি মেহেদী রাসেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি, হাঙ্গামার ঘটনা ঘটেছে। কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।