
শেখ আসাদুজ্জামান (মুকুল) ::
তারিখ ৩রা এপ্রিল ২০১৮, মঙ্গলবার। কয়রার নিজাম আলী বেলা ১২ টায় দরগাহপুর বাসস্টান্ড থেকে বাসযোগে সাতক্ষীরায় তার মেয়ের বাড়িতে বরফ দিয়ে দুটি কসকেটে করে কিছু কাচা মাছ নিয়ে যাচ্ছিলেন। বাসছাড়ার কিছুক্ষন পর কাদাকাটি বিলের মাঝামাঝি জায়গায় সামনে যানবহনের সারি দেখে বাস ড্রাইভার গাড়ি ব্রেক করলেন। হেলপার ঘটনা জানার জন্য বাসথেকে নেমে সামনের দিকে গেলেন এবং সহসাই ফিরে এসে বললেন রাস্তার মাঝখানে ইট বোঝাই ট্রাক ডেবে গেছে। ট্রাক না উঠলে কোনো বাস যেতে পারবে না। যাত্রীদের মাথায় হাত! ট্রাকটিকে তোলার অনেক চেষ্টা করা হল কিন্তু কোন লাভ হলনা বরং আরো ডেবে গেল। এর মধ্যে ঘড়িতে দুপুর দুইটা বেজে গিয়েছে। দেরি হলে মাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বুঝে নিজাম আলী আর বসে থাকল না। উপায় না পেয়ে সে কষ্ট করে কসকেট মাথায় নিয়ে ঐই জায়গা পার হয়ে সামনে থেকে নছিমনে রওনা দেয়। অবশ্য কিছুক্ষন পর বাস থেকে সকল যাত্রীদেও নামিয়ে দিয়ে অনেক ঝুকি নিয়ে বাস সংকির্ণ রাস্তা দিয়ে আস্তে আস্তে পার হয়ে সাতক্ষীরায় রওনা হয়। তখন বেশির ভাগ বলছিলেন যে কত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক, অথচ যেখানে সেখানে বড় বড় গর্তে ভরা, দেখার কি কেউ নাই। কতৃপক্ষ কি এতটাই উদাসীন ? হ্যা এতক্ষন আপনাদের দরগাহপুর-সাতক্ষীরা সড়কের কুল্যা থেকে দরগাহপুর পর্যন্ত ১৩কি:মি রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গা ও বড় বড় গর্তের কারণে যাত্রীদের প্রতিদিনই এই ভাবে কোন না কোন দুর্ভোগ এবং ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এই সড়কটি সাতক্ষীরার সাথে পাইকগাছা, কয়রা ও তালা উপজেলার সহজ ও সংক্ষিপ্ত পথ হওয়ায় এই সড়কে গুরুত্বও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এই সড়কে চলাচলকারী সকল যাত্রীদের মাননীয় জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে দাবী অতি দ্রুত সড়কটিকে বর্ধিত ও সংস্কার করা হোক। নইলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা, প্রানহানী এবং জন দুর্ভোগ কেউ ঠেকাতে পারবে না । এ খবর লেখা পর্যন্ত ট্রাকটি তোলার প্রক্রিয়া চলছিল।
##