
কে এম আনিছুর রহমান ::
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পিতা-মাতা প্রেমের স্বীকৃতি না দেওয়ায় স্মৃতি খাতুন (১৩) নামে তাদের এক কন্যা নিজ শরীরে কিরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পুড়ে আহত হওয়ার ৯ দিন পর মারা গেছে। শনিবার ভোরে ঢাকার বাডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এ দিকে এ ঘটনার জানার পর শনিবার সকাল ১০ টার দিকে প্রেমিক যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে আলামিন (১৩) যশোরের এক আত্মীয়ের বাসায় বিষপানে আত্মহত্যা করে।
এলাকাবাসি ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাটুলিয়া গ্রামের নূর ইসলামের মেয়ে স্মৃতি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া হাইস্কুলে ৭ম শ্রেনিতে পড়ত। লেখা পড়ার সুবাদে একই ক্লাসের ওই আলামিনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি স্মৃতির পিতা-মাতা জানতে পেরে তাদের প্রেমের স্বীকৃতি না দিয়ে বকাঝকা দিয়ে মেয়েকে মামার বাড়ি উপজেলার পাঁচপোতা গ্রামে রেখে আসে। এক পর্যায়ে গত ৯ নভেম্বর স্মৃতি পিতা-মাতার উপর অভিমান করে মামার বাড়ির ছাদে উঠে নিজের শরীরে কিরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পুড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
তাৎক্ষনিকভাবে মামার বাড়ির লোকজন স্মৃতিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি দেখা দিলে ঢাকার বাডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তার। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে রাতে স্মৃতি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
এ ঘটনা প্রেমিক আলামিন জানতে পেরে যশোরের এক আত্মীয়ের বাসায় সকালে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা যায়।
##