
স্টাফ রিপোর্টার :
কালো টাকা দিয়ে প্রভাবিত করার অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী শহীদুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই দাবি জানান। এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী এবং বিজয়ী প্রার্থী ইসরাইল গাজী কালো টাকা দিয়ে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি করেছে।
তিনি বলেন, গত ১১ মার্চ সন্ধ্যায় চৌবাড়িয়া এলাকায় জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীদের হাতে আমিসহ অনেক নেতা-কর্মী আহত হই। খবর পেয়ে ওসি এমদাদুল হক শেখ ঘটনাস্থলে যান এবং প্রতিশ্রুতি দেন জামায়াত ও বিএনপির লোকজন যাতে ভোট দিতে না পারে সে ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু সাতক্ষীরার শীর্ষ মাদক, অস্ত্র চোরাকারবারী ও হুন্ডি ব্যবসায়ী, জামায়াতের অর্থ যোগানদাতা দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের আবুল কাশেম সরদারের ছেলে আল ফেরদৌস আলফা ইসরাইল গাজীকে অর্থের যোগান দিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে। পুলিশ দিয়ে আমার এক কর্মীকে সারাদিন আটকে রাখে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনী প্রচরণার আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে জামায়াত নেতা ইসরাইল গাজী ও তার সমর্থকরা প্রভাব বিস্তার করে, যা মৌখিকভাবে জানানো হলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বরং পুলিশের এক কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে মাদক ব্যবসায়ী আলফা ও ইসরাইল গাজী এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়, এতে ভোটে প্রভাব পড়ে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি কালো টাকা দিয়ে প্রভাবিত করার অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
##
সাতক্ষীরা সদরের বল্লী ইউপি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল পূর্বক পুনঃনির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
স্টাফ রিপোর্টার :
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে ফলাফল বাতিল পূর্বক পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির পরাজিত প্রার্থী অ্যাড. মহিতুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই দাবি জানান।
এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ভোটের পূর্ব রাতে ২০/২৫টি মোটরসাইকেলে করে সন্ত্রাসীরা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট কেন্দ্রে না যেতে হুমকি দিয়ে আসে। ভোটের দিন কাঠালতলা, আমতলা ও ঘরচালা কেন্দ্রে আসা ভোটারদের ভোট না দিতে হুমকি দেয়। বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করেও যারা ভোট দিতে যায়, তাদের কাছ থেকে ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকরা। সকাল ১০টার দিকে ঘরচালা কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে এজেন্টরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ৪/৫শ ব্যালট কেটে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে। একইভাবে ভাটপাড়া কেন্দ্রে সাড়ে ৩শ ব্যালট কেটে নৌকায় সিল মেলে বাক্স ভর্তি করা হয়। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের কাছ থেকে জোরপূর্বক রেজাল্ট সিটে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এসব ঘটনায় আমি রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোন ফল পাইনি। এরপরও প্রত্যেক কেন্দ্রে আমি ২৫/৩০টি ভোটে এগিয়ে ছিলাম। কিন্তু সবশেষে আমাকে পরিকল্পিতভাবে ৩৮ ভোটে হারানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বল্লী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল পূর্বক পুনঃনির্বাচনের দাবি জানান। ##