
স্টাফ রিপোর্টার :
সাতক্ষীরার ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের জরুরী সভা রোববার কোরাম সংকটের কারণে হয়নি। গত ৫ আগস্ট কোন এজেন্ডা ছাড়াই মোবাইলে এই সভা আহবান করা হয় বলে জানাগেছে। রোববার বেলা সাড়ে ১১ টা পূর্ব নির্ধারিত সময় থাকলেও ১৭ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির আহবায়কসহ মাত্র ৫ জন উপস্থিত হওয়ায় মিটিং করা সম্ভব হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে। ফলে কমিটি গঠনসহ সার্বিক পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে।
জানাগেছে, চলতি বছরের ১৪ জুন ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় পূর্বের কমিটি বাতিল ঘোষনা করে সর্বসম্মতিক্রমে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহবায়ক করা হয় সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠুকে। এছাড়াও সেখানে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর জেলা প্রশাসনকে অবহিত করেই ২১ জুন গঠনতন্ত্রের ১৪(ঙ) ধারা মোতাবেক নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। এতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটির ঘোষনাও দেয়া হয়। যথারিতি নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব বুঝে নিয়ে ৮ জুলাই নির্বাচনী তফশিল ঘোষনার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করেন নির্বাচন কমিশন। একদিকে (আরাফাত-নাসিম) পরিষদ ৭ সদস্যের প্যানেল অপর দিকে (আশু-রাজু) পরিষদ পূর্ণাঙ্গ প্যানেলের মনোনয়নপত্র ক্রয় পূর্বক গত ২২ জুলাই আনুষ্ঠানিক ভাবে জমা দেন। ৮ আগস্ট ছিল নির্বাচনের নির্ধারিত দিন।
(আশু-রাজু) পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু রোববার সন্ধ্যায় গনমাধ্যমকে জানান, নির্বাচনী তফশিল ঘোষনার পর থেকেই একটি মহল কোটি টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমে তাদের পছন্দ মত মিউচুয়াল কমিটি গঠনের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। এরপর নির্বাচনী প্রক্রিয়া স্বচ্ছ নয় এবং গঠনতন্ত্র পরিপন্থি দাবী করে (আরাফাত নাসিম) পরিষদের প্রার্থী মেসার্স জেবা এন্টারপ্রাইজের পার্টনার তানভীর হুসাইন সুজন গত ২৩ জুলাই খুলনা বিভাগীয় যুগ্ম শ্রম পরিচালক এর কার্যালয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার ১০৫ দিন পর যুগ্ম শ্রম পরিচালক একে আলম স্বাক্ষরিত গঠনতন্ত্র সমুন্নত রেখে নির্বাচন করার পরামর্শ দিয়ে ২৭ জুলাই ভোমরা সিএন্ডএফকে অবহিত পত্র প্রেরণ করেন। এই পত্রের বিপরিতে জেলা নির্বাচন অফিসার আবুল হোসেন নির্বাচন সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষনা দিয়েছেন।
ফলে ঝিমিয়ে পড়ে নির্বাচনী সকল কার্যক্রম। এদিকে ভারত গমন শেষে আহবায়ক কমিটির আহবায়ক নাসিম ফারুক খান মিঠু সম্প্রতি দেশে ফিরে গত ৫ আগস্ট মোবাইলের মাধ্যমে ৯ আগস্ট জরুরী সভার আহবান করেন। কাজী রাজু জানান, ৮ আগস্ট নির্বাচনের মধ্যদিয়ে এই আহবায়ক কমিটির মেয়াদ শেষ হবে। কিন্তু নির্বাচন সাময়িক স্থগীত হওয়া নির্ধারিত সময় এবং আহবায়ক কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।বিধায় (আশু-রাজু) পরিষদের কোন সদস্যরা উক্ত মিটিং-এ উপস্থিত হয়নি। সেখানে (আরাফাত-নাছিম) পরিষদের নিছার উদ্দীন, অহিদুল ইসলাম, আরাফাত হোসেন ও বেনাপোলের লুৎফর রহমান উপস্থিত হলেও তারা পরে চলে যান। বর্তমান প্রেক্ষাপটে জেলার শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।