
এম. কামরুজ্জামান :
সাতক্ষীরার ভোমরা সীমন্তের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা এলাকায় গণপিটুনিতে নিহত বাংলাদেশী যুবক সোহেল অহম্মেদের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। রোববার বিকেল ৫টায় ভোমরা সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছে অনুষ্ঠিত বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে কোম্পানী কমান্ডার পর্যায় পতাকা বৈঠকের পর তার লাশ হস্তান্তর করা হয়।
কথিত গণ পিটুনিতে নিহত বাংলাদেশী যুবক সোহেল আহম্মেদ (২৫) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষ্মীদাড়ি গ্রামের মৃত আবু সালেকের ছেলে।
সাতক্ষীরা সদর থানার এস আই তানজির হাসান জানান, তার নেতৃত্বে পুলিশ ও বিজিবির ১০ সদস্য বিশিষ্ট্য প্রতিনিধি দলের কাছে ভারতীয় বসিরহাট থানার এ এস আই অলোক মাঝির নেতৃত্বে সে দেশের পুলিশ ও বিএসএফ’র ১০ সদস্য বিশিষ্ট্য একটি প্রতিনিধি দল নিহত সোহেলের মরাদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক শেখ সোহেলের লাশ ফেরত পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, পরিবারের সদস্যদের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সোহেল আহম্মেদ ওষুধ কেনার জন্য লক্ষ্মীদাড়ি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা এলাকায় যায়। কিন্তু রাতে সে আর ফিরে আসেনি। পরদিন সকালে সোহেল আহম্মেদের চাচা শহিদুল ইসলাম জানতে পারেন যে, ভারতের ঘোজাডাঙ্গা ব্রীজের কাছে আমতলা এলাকায় রাতে একটি বাড়িতে চুরির অভিযোগে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে গণপিটুনি দিলে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে স্থানীয় বিএসএফ ক্যাম্পে হস্তান্তর করতে গেলে তারা তাকে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এক পর্যায় সোহেল মারা যায়। খবর পেয়ে তারা চাচা শহিদুল শুক্রবার বিকালে ভারতে গিয়ে সোহেলের লাশ সনাক্ত করে। বিএসএফ পরে লাশ বসিরহাট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এবিষয়টি সাতক্ষীরার ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আবুল কাশেমকে অবহিত করলে তিনি ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ও লাশ ফেরত চেয়ে প্রতিপক্ষ ঘোজাডাঙ্গা বিএসএফকে একটি চিঠি দেয়।