
স্টাফ রিপোর্টার :
সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্তের ইছামতি নদীর কোমরপুর এলাকা থেকে রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশি যুবক রুবেল হোসেনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাড়দ্দহা গ্রামের মোসলেম আলির ছেলে।
ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা তাকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
তারা জানান, নিহত রুবেলের এক সঙ্গী কওসার আলিকে বিএসএফ আটক করেছে । অপর সঙ্গী আসাদুল পালিয়ে বাংলাদেশে এলেও বিজিবির হাতে গ্রেফতার হয়েছে । তাদের সবার বাড়ি সদর উপজেলার হাড়দ্দহা গ্রামে । এক সাথে গরু আনতে ভারতে যাবার পর বুধবার রাত থেকে সে নিখোজ ছিল।
তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির ৩৪ ব্যাটেলিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল খালিদ বিন ইউসুফ জানান, ইছামতি নদী থেকে ‘লাশটি উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, বুধবার রুবেল তার তিন সহযোগী হাড়দ্দহা দক্ষিন পাড়ার বাবর আলির ছেলে কওসার আলি ও মাঝের পাড়ার আসাদুলের সাথে ভারতে গরু আনতে যায়। রাতে ইছামতি নদী সাঁতরে গরু নিয়ে বাংলাদেশে ফেরার সময় কওসার বিএসএফ’র হাতে আটক হয় । তাকে ভারতীয় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এদিকে নদীতে সাঁতার কাটার সময় বিএসএফএর রিভার উইং সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে তাদের দেহে স্পীড বোট চালিয়ে দেয়। এতে রুবেল গুরুতর আহত হন। বিএসএফ তাকে বোটে তুলে ফের নির্যাতন করে নদীতে ফেলে দিলে মারা যান রুবেল। এরপর থেকে নিখোজ ছিল সে । এসব ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী আসাদুল নদী সাঁতরে বাংলাদেশে আসে। বিজিবি তাকে গ্রেফতার করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
বিজিবির শাখরা ক্যাম্প সদস্যরা জানান,রুবেল গরু আনতে ভারতে যাননি। তিনি ও তার সঙ্গীরা ইটভাটায় কাজ করে বাড়ি ফেরার সময় রুবেল বিএসএফএর নির্যাতনে মারা যান বলে তারা খবর পেয়েছেন। গ্রামবাসী জানান রুবেলের লাশ পানিতে ভাসতে দেখলেও ভারতিয় কর্তৃপক্ষ সেটি উদ্ধারের চেষ্টা করেনি। রোববার বিকালে বিজিবির শাখরা ক্যাম্পের কাছে এলে বিজিবি তাকে উদ্ধার করে।
দেবহাটা থানার অফিসার ইন চার্জ ( ওসি) আজিজুল হক জানান, ‘বিজিবির সন্দেহ বিএসএফ তাকে নদীতে নির্যাতন করে হত্যা করেছে’। তিনি জানান লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত করা যায়নি বলে জানান তিনি।