সাতক্ষীরায় ৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ২২ মার্চ


989 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
সাতক্ষীরায় ৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ২২ মার্চ
ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৬ ফটো গ্যালারি সাতক্ষীরা সদর
Print Friendly, PDF & Email

নাজমুল হক :
সাতক্ষীরা জেলার ৭৮টি ইউনিয়নে একযোগে আগামী ২২ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন এ তফসিল ঘোষনা করে। নির্বাচনের তফসিল ঘেষণায় জেলার চেয়ারম্যান ও মেম্বর প্রার্থীদের মধ্যে নতুন করে প্রাণ চঞ্চল্য ফিরে এসেছে। অন্যদিকে এবারই প্রথম চেয়ারম্যান পদে দলীয় পদে নির্বাচন হওয়ায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে জেলায় মনোনয়ন বাণিজ্য জমে উঠেছে। ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা জেলা ও উপজেলার নেতাদের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিচ্ছেন। পিছিয়ে নেই মেম্বর প্রার্থীরাও। তারাও দলীয় সমার্থন পেতে নেতাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন।
সূত্র জানায়, জেলার সাতটি উপজেলার ৭৮টি ইউনিয়নে নির্বাচন ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২২ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২ মার্চ। জেলার সাতক্ষীরা সদরে ১৪টি, আশাশুনির ১১টি, দেবহাটার ৫টি, কালিগঞ্জের ১২টি, শ্যামনগরের ১২টি, কলারোয়ার ১২টি এবং তালা উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এতে সব দলেই বিশেষ করে আওয়ামী লীগে ব্যাপক জাগরণের সৃষ্টি হয়েছে। বেশিরভাগ ইউনিয়নে দলের ইউনিয়ন পর্যায়ের সভাপতি ও সম্পাদক প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে গ্রুপিং-লবিং শুরু করেছেন। মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা না দিলেও কয়েকটি উপজেলা পর্যায়ের নেতৃত্বও দু’ভাগে ভাগ হয়ে গেছে প্রার্থী মনোনয়ন প্রশ্নে। এরই মধ্যে দলের সভাপতি অথবা সম্পাদক তার পছন্দমতো একটি সম্ভাব্য মনোনয়ন তালিকা প্রস্তুত করে তা নিয়ে জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে লবিং করেছেন।

সূত্র আরো জানায়, আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাদের সাথে গ্রুপিং-লবিং শুরু করেছে দলের হাইব্রিড নেতারা। তারা দলের সুসময়ে নিজের আখের গুছিয়ে দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে দলের পোড় খাওয়া নেতারা তাদের দাবী মানতে নারাজ। দলেও দুঃসময়ে তারা আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে বলে দলীয় সমার্থন আদায়ে চেষ্টা করছে। ব্যানার পোস্টারে তারা দলীয় নেতাদের ছবিও টাঙ্গিয়ে দিয়ে প্রচারণা চালাছে।

তবে ঘাপটি মেরে আছে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত ও ওয়ার্কাস পার্টির নেতারা। বিএনপি সিদ্ধান্ত নিলে নির্বাচনে অনেক নেতাকে দেখা যাবে বলে সূত্র জানায়, অন্যদিকে নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় জামায়াত নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন বলে জোর গুঞ্জন আছে।

নাম প্রকাশ না করে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দলের জন্য সময়, শ্রম দিলেও দলের জন্য নিবেদিত নেতাকর্মীকে মনোনয়ন বঞ্চিত করে সদ্য বিএনপি অথবা জামায়াত থেকে আসা প্রার্থীকে আ’লীগের প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানোর প্রক্রিয়া চলছে। দীর্ঘকাল ধরে বিএনপি অথবা জামায়াত করেছেন, চেয়ারম্যান হয়েছেন অথচ এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন কোনো কোনো প্রার্থী। তারা আ’লীগে যোগ দিতেও প্রস্তুত।
অন্যদিকে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৭৫২টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) গ্রহণ হবে আগামী ২২ মার্চ। বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বৃহস্পতিবারই এই নির্বাচনের তফসিল সংবাদ সম্মেলন অথবা প্রজ্ঞাপন আকারে ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানান তিনি।