
স্টাফ রিপোর্টার :
আন্তর্জাতিক সহনশীলতা দিবসে সাতক্ষীরায় র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইন্সটিটিউটের আয়োজনে সোমবার সকাল ৯টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে র্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
দিবসের গুরুত্বের উপর আলোচনা করেন, জেলা প্রশাসক নাজুমল আহসান, সাংবাদিক এম. কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইন্সটিটিউটের সাতক্ষীরা সমন্বয়কারী আমিনা বিলকিস ময়না, শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, কৃষ্ণ ব্যানার্জি, রাশেদ হোসেন, জয়নাব বিনতে আহমেদ, সঞ্চিতা কর্মকার, আফতাবুজ্জামান, নীলুফা ইয়াসমিন, মুনিয়া পারভিন প্রমুখ।
আলোচকরা বলেন, ১৬ নভেম্বর ১৯৯৫ সালে জাতিসংঘের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সদস্য রাষ্ট্রসমূহ সহনশীলতার নীতিমালা সংক্রান্ত একটি ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে । এই সহনশীলতার নীতিমালাসমূহ সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণায় থাকা অধিকারগুলোকে স্বীকৃতি দেয়। পৃথিবীতে ও বিভিন্ন দেশের সমাজে বহু মত, পথ, ধর্ম ও বর্ণে বিভক্ত মানুষের জীবনাচরণে বৈচিত্র্য পরিলক্ষিত হয় ।
এই জন্য মানব সমাজ স্বাভাবিকভাবেই বৈচিত্র্যময় এবং এই বৈচিত্র্যময় ও বহুবিভক্ত পৃথিবীতে ভিন্ন মত ও সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাবের আদানপ্রদান ও সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে মানুষের মধ্যে একটি সহনশীল মনোভাব প্রয়োজন । ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয় সমাজে ও রাষ্ট্রে সহনশীল পরিবেশ সৃষ্টি ও রক্ষা করার দায়িত্ব সকল নাগরিকের । মানবাধিকার রক্ষা করতে হলে সহনশীল পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সমাজে সব গোষ্ঠী ও ব্যক্তির প্রতি সম-আচরন ও সম-সুযোগ তৈরি করার জন্যে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র গুলো এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে নতুন আইন তৈরি করার অঙ্গীকার করেছে ।
অবিচার, সহিংসতা, বৈষম্য ও বঞ্চনা অসহিষ্ণুতার বিভিন্ন রুপ মাত্র । সমাজে সহনশীলতা প্রসারের মাধ্যমে সম্প্রীতি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা সম্ভব । সহনশীল মনোভাব তরুণদের যৌক্তিকভাবে চিন্তা ও নৈতিকতার মানদন্ডের ভিত্তিতে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে প্রসারিত করে যা প্রকারন্তরে একটি দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শক্তিশালী করে । একটি সমাজে বিভিন্ন ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি ও জাতিসত্তার উপস্থিতি সংঘাতের পথকে প্রশস্ত করে না, বরং সহনশীল পরিবেশ এই সামাজিক বাস্তবতাকে সঠিক পথে পরিচালনার মাধ্যমে সমাজের অন্তর্নিহিত সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।