
স্টাফ রিপোর্টার ::
শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হেতালখালি গ্রামের ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ আব্দুল মজিদ স্থানীয় ইউপি মেম্বর আব্দুল ওহাবের ষড়যন্ত্রের মুখে পড়েছেন। ইউপি মেম্বর তার বিরুদ্ধে একটি মেয়ে অপহরনের প্রচার দিয়ে মজিদের কাছে চাঁদা চাইছে।
সোমবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন আবদুল মজিদ তিনি বলেন মেম্বর প্রচার দিয়েছে হয় টাকা দিতে হবে নয়তো জেল খাটতে হবে। তিনি তার কবল থেকে রক্ষা পেতে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন তার দুই ছেলের একজন আবদুল হালিম ছিল কুয়েত প্রবাসী। ২০১৫ সালে সে বাড়ি আসলে মেম্বর ওহাব এক নারীকে নারীকে জড়িয়ে ব্লাকমেইলিং করে তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা হাতিয়ে নেয়। এতে মর্মাহত হয়ে ও লোকলজ্জার ভয়ে হালিম ফের কুয়েত চলে যায়। সেখানে ব্রেইন স্ট্রোকে মৃত্যু হয় ছেলে হালিমের। আবদুল মজিদ জানান এর পর থেকে মেম্বর আবদুল ওহাব তার কাছে বারবার চাঁদা চায়। কিন্তু দিতে অস্বীকার করায় সে নতুন ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পাতে। তিনি বলেন এলাকার জাবের মোড়লের মেয়ে সাবিকুন নাহারকে সে কৌশলে ব্যবহার করেছে। তিনি জানান গত ১৬ মার্চ কুচক্রী মেম্বর ওহাব মজিদের বাড়িতে মিজান নামের এক ব্যক্তিকে পাঠায়। সেখানে মজিদ ও সাবিকুন কি করছে তা দেখার জন্য। মজিদ বলেন তখন আমি বাড়িতে ছিলাম না। ঘরে তালা দেওয়া দেখে মিজানও চলে যায়। কিন্তু মেম্বর ওহাব অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সাবিকুনকে ডেকে বলে তুই মজিদের বাড়ি গিয়েছিলি। তোর সাথে মুজিদের অবৈধ সম্পর্ক আছে। তোকে পুলিশে দেবো। সাবিকুন এর ঘোর প্রতিবাদ করে ।ওই সময় তার মা নাসিমা খাতুন মেম্বরকে গালিগালাজ করে তার খপ্পর থেকে সাবিকুনকে বের করে বাড়ি নিয়ে যান।
সংবাদ সম্মেলনে মজিদ বলেন এরপর মেম্বর ওহাব নতুন ষড়যন্ত্রে নেমেছে। তার কুপরামর্শে মা নাসিমা খাতুন মেয়ে সাবিকুনকে সরিয়ে রেখে মজিদের বিরুদ্ধে অপহরন মামলা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই সুযোগে মেম্বর ওহাব মজিদকে বলেছে টাকা দিলে সব মীমাংসা করে দেবো। টাকা না দিলে তোমাকে ও তোমার ছেলেকে জেল খাটাবো।
আবদুল মজিদ ওই কুচক্রী মেম্বর ওহাবের খপ্পর থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
##