
॥ বিশেষ প্রতিনিধি ॥
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২ নম্বর পোল্ডারের অধীন ৩৪টি বিলে গত বছরের তুলনায় এবার দ্বিগুণ পরিমান রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে।
ব্লু-গোল্ড প্রোগ্রামের অধীনে বেতনা ও মরিচ্চাপ নদীর সাথে সংযুক্ত ২৯ কিলোমিটার খাল খনন করায় ১৫ হাজার ৩শ’ ৮ একর জমির মধ্যে ৮ হাজার ৩শ’ ১৩ একর জমি আমন ধান চাষের আওতায় এসেছে। সেখানে গত বছর চাষ হয়েছিল ৪ হাজার ৭শ’ ৯৯ একর জমিতে। আর ২০১৫ সালে চাষ হয়া মাত্র ৩ হাজার ২শ’ একর জমিতে। এবার বিলের পানি নিস্কাশন হওয়ায় কৃষকরা আশাতীত পরিমান জমিতে আমন চাষ করতে পেরেছেন। বিলের চারিদিকে সবুজে ভরে গেছে। তাই কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্লু-গোল্ড প্রোগ্রামের জোনাল কো-অর্ডিনেটর ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ জয়নাল আবেদীন জানান, ২ নম্বর পোল্ডারের ভেতরের বেতনা ও মরিচ্চাপ নদীর সংযোগ খালগুলো সংস্কার করা হয়েছে। খনন করা হয়েছে ২৯ কিলোমিটার খাল। স্লুইজ গেট দিয়ে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পানি নিস্কাশন হওয়ায় ৩৪টি বিলের মধ্যে বাঁধনডাঙ্গা (উত্তর) বিল, চেলার বিল, ধুলিহর-গোবিন্দপুর-বড়দয়াল বিল, ফটিকের বিল, ঘোষখালী বিল, হাবাসপুর (কুলটিয়া-গোবরদাঁড়ী-সর্বকাশেমপুর-জোড়দিয়া) বিল, জিয়ালা-বাঁধনডাঙ্গা বিল, কুলটিয়া-হাবাসপুর বিল, নৈকুড় বিল, রামচন্দ্রপুর বিল ও সোনাকুড় বিল সম্পূর্ণ রোপা আমন ধান চাষের আওতায় এসেছে। ২ হাজার ৮শ’ একরের মধ্যে ২ হাজার ৬শ’ একর জমিতে এবার ধান চাষ হয়েছে।
জয়নাল আবেদীন আরও জানান, সাদা মাছের চাষ করা এবং বেতনা ও মরিচ্চাপ নদীর তলদেশ বিল থেকে উঁচু হয়ে যাওয়ায় গদাই বিল, হাঁসখালী বিল, কামিয়ার বিল ও কৈখালী বিলে এখনও আমন চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে কচুয়া বিলের প্রায় ৪শ’ একর জমি স্থায়ী জলবদ্ধকার শিকার। তবে আমোদখালী বিল, অন্ধের মানিক বিল, গুড্ডির বিল, গোবিন্দপুর বিল, হাজীখালী বিল, কচুর বিল, কুথরাইল-খোড়ি বিল, অন্তাকুড়ির বিল, পাল্লের চাঁদ বিল, শকুনখালী বিল, শোলাকুলা বিল, শ্বেতপুর বিল ও আলতাকুড় বিলের অধিকাংশ জমি আমন চাষের আওতায় এসেছে। এসব জমিতে এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সকল বিল এলাকায় এখন সবুজের সমারোহ। যেদিকে চোখ যায় ধান আর ধান। কৃষকরাও মহাখুশি।
##