
সাতক্ষীরায় জেলায় মোট কেন্দ্র-৩৮, পরীক্ষার্থী-১৯৬১৭ জন, গেটে থাকবে দেহ তল্লাসী, থাকবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
সেলিম হোসেন ::
—————–
সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরায় আজ ২ এপ্রিল শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এইচএসসি, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ব্যবস্থাপনা), এইচএসসি (ভোকেশনাল) ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষা । এবছর এইচএসসি/ সমমানের পরীক্ষায় জেলার ৩৮টি কেন্দ্রের সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯ হাজার ৬শ ১৭ জন। এর মধ্যে এইচ এস সি পরীক্ষায় ২২টি কেন্দ্রের মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৪শ ৩৪ জন, এইচ এস সি (বিএম) পরীক্ষায় ৮টি কেন্দ্রের মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ হাজার ৪শ ৬৬জন, এইচ এস সি (ভোকেশনাল) পরীক্ষার ১টি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১শ ৩ জন এবং আলিম পরীক্ষার মোট ৭টি কেন্দ্রের মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৬শ ১৪ জন।
সুত্র জানায়, এইচ এসসি ও সমমানের পরীক্ষা প্রশ্নফাসমুক্ত, প্রশ্নফাসের গুজবমুক্ত ও সম্পূর্ণ নকলমুক্ত সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহনের লক্ষ্যে জেলায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এবারের পরীক্ষায়-
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা : এইচএসসি পরীক্ষায় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৩ জন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৭শ ৬২ জন, সাতক্ষীরা সিটি কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮শ ৩জন, সাতক্ষীরা দিবা-নৈশ কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩শ ৫০জন, ভালুকা চাঁদপুর আদর্শ কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২শ ৬৬ জন, আলিম পরীক্ষায় সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩শ ৮৬ জন, এইচএসসি (বিএম) শাখায় সাতক্ষীরা পি.এন স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮শ ৬২ জন, এইচ এসসি (ভোকেশনাল) সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১শ ৩জন।
তালা উপজেলা: তালা উপজেলায় এইচএসসি পরীক্ষায় তালা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪শ ২৬ জন, কুমিরা মহিলা কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২শ ৬২জন, পাটকেলঘাটা হারুন অর রশীদ কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪শ ৭ জন, তালা মহিলা কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২শ ২৫ জন। আলিম পরীক্ষায় তালা ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২শ ২১জন। এইচ এস সি (বিএম) শাখায় কুমিরা মহিলা কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮শ ৪১ জন।
কালিগঞ্জ উপজেলা: কালিগঞ্জ উপজেলায় কালিগঞ্জ কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩শ ৫৪জন, রোকেয়া মুনসুর মহিলা কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫শ ৯৫ জন, নলতা আহছানিয়া মিশন রেসি: কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ শ ৭১ জস। আলিম পরীক্ষায় নলতা দারুল উলুম আলিম মাদরাসা েেকন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১শ ৬৯ জন। এইচএসসি (বিএম) শাখায় রোকেয়া মুনসুর মহিলা কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩শ ২১জন।
কলারোয়া উপজেলা: কলারোয়া উপজেলায় এইচএসসি পরীক্ষায় কলারোয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪শ ৮৮ জন, শেখ আমানুল্লাহ কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩শ ৫৯ জন, বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৩৯ জন। আলিম পরীক্ষায় কলারোয়া আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১শ ৩ জন। এইচএসসি (বিএম) শাখায় শেখ আমানুল্লাহ কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১হাজার ৮৯ জন।
আশাশুনি উপজেলা: আশাশুনি উপজেলায় এইচএসসি পরীক্ষায় আশাশুনি কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪শ ৯৫ জন, আশাশুনি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪শ ৭৫জন, দরগাহপুর এস কে আর এইচ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮শ ৩৫জন। আলিম পরীক্ষায় আশাশুনি আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১শ ৯৮জন, গুনাকরকাটি খাইরিয়া আজিজিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১শ ৬৭জন। এইচ এসসি বিএম শাখায় আশাশুনি কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩শ ২১জন।
দেবহাটা উপজেলা: দেবহাটা উপজেলায় এইচএসসি পরীক্ষায় খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২শ ৫০ জন, হাজী কেয়ামউদ্দীন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫শ ৭৩জন। এইচএসসি বিএম শাখায় দেবহাটা কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩শ ২৮জন।
শ্যামনগর উপজেলা: শ্যামনগর উপজেলায় এইচএসসি পরীক্ষায় শ্যামনগর সরকারি মহসিন কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ১শ ৭৭জন, শ্যামনগর আতরজান মহিলা কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭শ ৩১জন। আলিম পরীক্ষায় শ্যামনগর কেন্দ্রিয় মাদরাসা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩শ ৭০ জন। এইচএসসি বিএম শাখায় শ্যামনগর আতরজান মহিলা কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪শ ৯৩ জন।
পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নকল মুক্ত করতে প্রত্যেক কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ থাকবে। তারা প্রশ্ন গ্রহন করে পুলিশ প্রহরায় কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন এবং তাদের উপস্থিতি ব্যতীত প্রশ্ন বের করা বা বহন করতে পারবে না। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কেন্দ্র সচিব ও পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতি ও স্বাক্ষরের বিধি অনুযায়ী প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলা হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে সকল পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশপূর্বক আসন গ্রহন নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ যথাযথভাবে মনিটরিং করবে। ৩০ মিনিট পরে কোন পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে প্রবেশ করলে সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন এবং এ নির্দেশ প্রতিপালনে ব্যর্থ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করে বিভাগীয় মামলা দায়ের করতে হবে। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যতীত পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকর্তা মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত কোন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবে না। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুধু একটি সাধারণ (ক্যামেরা ও ইন্টারনেট সংযোগবিহীন) ফোন ব্যবহার করতে পারবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের ২শ মিটারের মধ্যে কিংবা পরীক্ষা কেন্দ্রের অভ্যন্তরে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশকারীকে তাৎক্ষনিক গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পরীক্ষা কেন্দ্রের ৫শ গজের মধ্যে জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ করার জন্য ফৌঃ কাঃ বিধির ১৪৪ ধারা জারী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের দেহ তল্লাসী করে পরীক্ষার্থীরা যাতে অবৈধ কোন কাগজপত্রাদি সাথে না রাখতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। ছাত্রীদের ক্ষেত্রে শিক্ষিকাদের দিয়ে তল্লাসী করতে হবে। ছাত্রীদের গেটে তল্লাসী না করে একটি কক্ষে তল্লাসী করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষা হলে উপস্থিত সকল সকল পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে সকল ধরনের অবৈধ কাগজপত্রাদি সংগ্রহ করতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের আশ-পাশে এক কিলোমিটারের মধ্যে সকল ফটোস্ট্যাট মেশিন পরীক্ষা সময়ের জন্য বন্ধ রাখার ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। পরীক্ষার্থীদের পানি খাওয়ানোর অজুহাতে কোন কর্মচারী হলে প্রবেশ করতে পারবে না। এক্ষেত্রে কক্ষের সামনে পানি ভর্তি কলস ও গ্লাসের ব্যবস্থা রাখতে হবে। নকলমুক্ত পরিবেশ রক্ষায় সহযোগিতা দানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভিজিলেন্স টীম গঠন করা হবে।
এ বিষয় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন বলেন, পরীক্ষার পরিবেশ সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও প্রশ্নফাস জিরোতে নিয়ে আসতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ থাকবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার হলে কোন শিক্ষককের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে সাথে সাথে তাকে বরখস্ত করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে। এবং সার্বক্ষনিক ভিজিলেন্স টীম থাকবে। কোচিং বন্ধের বিষয় তিনি বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন কোনো কোচিং সেন্টার চালু রাখতে পারবে না। তবে ৯ম ও ১০ম শ্রেনীর ইকুপমেন্ট ক্লাসের জন্য খোলা রাখতে পারে। কিন্তু ফরমল কোনো কোচিং সেন্টার খোলা রাখলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।