সাতক্ষীরায় এক’শ বছরের ভোগ দখলীয় জমিতে লাগানো সরিষা পাওয়ার টিলার দিয়ে নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ


473 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
সাতক্ষীরায় এক’শ বছরের ভোগ দখলীয় জমিতে লাগানো সরিষা পাওয়ার টিলার দিয়ে নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ
ডিসেম্বর ১১, ২০১৫ ফটো গ্যালারি সাতক্ষীরা সদর
Print Friendly, PDF & Email

স্টাফ রিপোর্টার :
সাতক্ষীরার আলীপুরে পৈত্রিক সূত্রে মালিক হয়ে প্রায় এক’শ বছর ধরে ভোগ দখলীয় জমিতে লাগানো সরিষা প্রতিপক্ষরা পাওয়ার টিলার দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা ওই জমিতে কলাগাছ পুতে দখলে নেয়ার পাযতারা করছে। শুক্রবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের আব্দুল গফ্ফার সরদারের ছেলে হাফিজুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাফিজুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর মৌজার ডিএস-২০১ খতিয়ানের বিভিন্ন  দাগে মোট ৪ একর ২৩ শতক জমি তার দাদ ও বাবা-চাচাসহ ৩৬ জন পর্যায়ক্রমে পৈত্রিক ভাবে ওয়ারেশ সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘ প্রায় এক’শ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু ভুলবশতঃ উক্ত খতিয়ানের ৭২১০ ও ৭২১১ দাগে ২৩ শতক জমি তার বাবা গফ্ফার সরদারসহ অন্য ওয়ারেশের নামে এসএ রেকড ভুক্ত হয়নি। কিন্তু জমি তারা ভোগ দখল করে আসছেন।  তবে রেকড সংশোধনের জন্য আদালতে দেওয়ানী ৩৫৫/১১ একটি মামলা করা হয়েছে। যা বর্তমানে বিচারাধীন আছে। কিন্তু আলীপুর গ্রামের মৃত মোজাহার সরদারের ছেলে জামাত আলী সরদার ও একই গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলী মোড়লের ছেলে আশরাফ আলী মোড়ল ওই দখলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে পায়তারা শুরু করে। একপর্যায় গত ৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে জামায়াত আলী ও তার দুই ছেলে হাকিমুর ও ওকিলুর এবং আশরাফ আলী শতাধিক লোক নিয়ে ওই জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে জমিতে লাগানো সরিষা পাওয়ার টিলার মেশিন দিয়ে নষ্ট করে দেয়। এঘটনায় তিনি নিজে ও চাচাত ভাই হাফিজুল বাদী হয়ে সদর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। যা তদন্তাধিন আছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, থানায় দরখাস্ত করার খবর পেয়ে প্রতিপক্ষ জামাত আলী গংরা শুক্রবার সকালে ওই জমিতে ছাই ফেলে কলা গাছ পুতে ঘেরা বেড়া দিয়ে দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে। তারা ওই জমিতে গেলে তাদেরকে মেরে লাশ ফেলে দিবে বলে আশরাফ আলী ও জামাত আলীসহ তার ছেলেরা প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। ফলে ভয়ে তারা আতংকিত হয়ে পড়েছেন। তিনি জামাত আলী গংদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার পাশাপাশি যাতে শত বছরের দখলীয় পৈত্রিক জমিতে শান্তিপূর্ন ভাবে চাষাবাদ করতে পারেন তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।