
স্টাফ রিপোর্টার :
সাতক্ষীরার তালতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক এস,এম মোর্তজা আলম যোগদানের সময় প্রথমে শিক্ষক যোগ্যতায় সনদপত্র জালিয়াতি ও পরে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে অবৈধ বিএড সনদপত্র ঢাকা ডিজি অফিসে প্রেরণ করে বিএড স্কেল করান বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোঃ আবিদার রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবিদার রহমান বলেন, ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে তালতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি সুনামের সঙ্গে পরিচালিত হয়ে আসছে। বিদ্যালয়ের লেখা পড়ার মান ও পরীক্ষার ফলাফল বরাবর ভাল। কিন্তু একটি বিশেষ গোষ্টি এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তিনি বলেন, শিক্ষক এস,এম মোর্তজা আলম বিদ্যালয়ে যোগদান কালে বি,এড পাশ ছিলেন না। তাকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৬৪০০ টাকা বেতন স্কেলে নিয়োগপত্র দিয়েছিলেন। তিনি প্রথমে শিক্ষক যোগ্যতায় সনদপত্র জালিয়াতি করেন। পরে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে অবৈধ বিএড সনদপত্র ঢাকা ডিজি অফিসে প্রেরণ করে বিএড স্কেল করান যা বিগত কমিটির চোখে ধরা পড়ে। তিনি (মোর্তজা) প্রধান শিক্ষক সম্পর্কে যে বিবৃত্তি দিয়াছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। মোর্তজা আলম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন কোচিং বাণিজ্য নীতি মালা লংঘন করে একই ক্লাসের ৫২ জন ছাত্র ছাত্রী নিয়ে স্বেচ্ছাচারি ভাবে কোচিং বানিজ্য করছিলেন যা পরিদর্শন কালে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে এবং সাথে সাথে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়।
তিনি আরও বলেন, নোটিশ গ্রহণ না করে শিক্ষক মোর্তজা আলম চরম শৃঙ্খলা ভঙ্গের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। যা শাস্তি যোগ্য অপরাধ। তিনি তার অপরাধ সমূহ ধামা চাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের অপতৎপ্রতা চালাচ্ছেন। ইতিপূর্বে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এ ছাড়াও আরও কতকগুলো বিষয়ে কর্তৃপক্ষ তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে। নোটিশ পেয়েও তিনি অবৈধ বিএড এর অতিরিক্ত টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত না দিয়ে ও ওয়ানটিং পেপার্স সমূহ জমা না দিয়ে তঞ্চকি একটি জবাব দাখিল করেন। বিধায় তাকে তৃতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের জন্য কতৃপক্ষ প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ প্রদান করেন। যা সম্পূর্ন বিধি সম্মত। তিনি একটি সামাজিক প্রতিষ্টানকে জড়িয়ে এ ধরনের হীন কাজে লিপ্ত হওয়ার তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।