সাতক্ষীরায় কবুতর পালনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে বেকার যুবকরা


4465 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
সাতক্ষীরায় কবুতর পালনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে বেকার যুবকরা
মার্চ ১০, ২০১৬ ফটো গ্যালারি সাতক্ষীরা সদর
Print Friendly, PDF & Email

ইব্রাহিম খলিল :
সাতক্ষীরা জেলায় কবুতর পালনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে বেকার যুবকরা। স্বল্প পুঁজি ও সামান্য শ্রমে বেশী মুনাফা হওয়ায় বাড়ির আঙ্গিনায় আঙ্গিনায় ইতোমধ্যে জেলায় পাঁচ শতাধিক ছোট বড় খামার গড়ে উঠেছে। বার মাসে তের জোড়া কবুতর পাওয়া যায়।  আর কবুতর পালনে ধান গম ও ভুট্্রা গুড়া  কবুতরের প্রধান খাদ্য হওয়ায়  খাবার নিয়ে চিন্তা করতে হয়না খামার মালিকদের। তবে বছরে শীতের সময় এদের রোগ বেশি দেখা দেয়। তাই শীত আসার আগে  রানীক্ষেত ভেকসিন বা প্রিজাম কস্ক ভেকসিন দেওয়ার পরামর্শ দেন জেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা।

কবুতর খামারীরা জানান, বাড়ির আঙ্গিনায় কাঠ দিয়ে ক্ষোপ তৈরি করে ও বিল্ডিংয়ের ছাদের উপর  বাস্ক , খাঁচা অথবা তৈরী ঘরে কবুতার পালন করা যায়। ৫০ দিন পর সাধারনত  ডিম দেয়। কবুতর সাধারনত বার মাসে তের জোড়া ডিম ও বাঁচ্চা দেয়। এক জোড়া কবুতার ৫শত টাকা থেকে শুরু করে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করা যায়।  এর ডিম ও মাংশ আমিষের অভার সহ নানা রোগে প্রতিকার করে।

1

সাতক্ষীরার বিভিন্ন অঞ্চলগুলিতে এখন বানিজ্যিক ভিত্তিতে  কবুতর পালন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে শ্যমনগর ,কালিগঞ্জ, আশাশুনি  উপজেলার  কাপসন্ডা, ফকরাবাদসহ স্থানে কবুতার পালনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে বেকার যুবকরা। রেডকিং, হোইটকিং, ইয়োলোকিং  নোটন, গিরিবাজ র‌্যাং, সহ বিশ প্রজাতির কবুতর পালন করা হয়।

জেলার আশাশুনি উপজেলার কামসন্ডা গ্রামের শরিফুল সিলাম জানান, বাড়ি অন্যান্য কাজের পাশা পাশি  বাড়তি মুনাফা আর শখ মিটাতে  কবুতর পালন করছি। এখানে অল্প টাকা পুঁজিতে অধিক টাকা লাভ হয়। কবুতর মাসে ২বার ডিম বা বাচ্চা দেয়।  তবে ঠিক মত কবুতর বিক্রয় ও ঔষধ খেতে দেওয়ার  নিয়ম না জানায় নানা সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। তাই  কবুতর পালনের উপর প্রশিক্ষনের দাবি জানান  তিনি।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মুনজিতপুর গ্রামের দেবাশীষ বাছাড় জানান, তিনি পাচ বছর যাবত কবুতর পালন করছেন। প্রথমে শখের বষে এখন ব্যাবসায়ি হিসেবে পালন করছেন। তার বাড়িতে সাত থেকে আট জাতের কবুতর রয়েছে। তিনি বলেন যদি সঠিক ভাবে কবুতর পালন করা যায় তাহলে বছর শেষে অনেক মুনাফা অর্জন করা যায়।

2

জেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা শিশির কুমার বিশ্বাস সাতক্ষীরা জেলাতে কবুতর পালনে মানুষের আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে। তবে বছরে শীতের সময় এদের রোগ বেশি দেখা দেয়। তাই শীত আসার আগে  রানীক্ষেত ভেকসিন বা প্রিজাম কস্ক ভেকসিন দেওয়ার পরামর্শ দেন। প্রশিক্ষনের কোন ব্যবস্থা এই মুহুর্তে¡ নেই ,তবে প্রশিক্ষনের জন্য আবেদন  করা হয়েছে।