সাতক্ষীরায় গরমে বেড়েছে হাতপাখার কদর


154 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
সাতক্ষীরায় গরমে বেড়েছে হাতপাখার কদর
মে ১৮, ২০২৩ ফটো গ্যালারি শ্যামনগর
Print Friendly, PDF & Email

ডেস্ক রিপোর্ট ::

গরমে হাতপাখার কদর বেড়েছে। তাপ প্রবাহে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে দিন মজুর শ্রেণির মানুষ যারা মাঠে রৌদ্রে নিয়মিত কাজ করছেন প্রচন্ড গরমে অস্থির হয়ে উঠছেন। এই গরমে আবার বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়েছে। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণেও গরমে অস্থিরতা প্রকাশ করছে মানুষ।

গরমে বেড়েছে সব ধরনের হাত পাখার কদর। বিশেষ করে তাল পাতার পাখার চাহিদা বেশি বেড়েছে। ছোট বড় সব ধরনের দোকানে হাত পাখা বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। উপকূলীয় সাতক্ষীরার শ্যামনগর লবণাক্ত এলাকা হওয়ায় গরম আরও বেশি অনুভব হয় যা অনেকে মতো প্রকাশ করেন। লবণাক্ততার কারণে বিভিন্ন ইউনিয়নে বৃক্ষরাজি কম হওয়ায় বেশি গরম অনুভব হয় এমনটাই মতো প্রকাশ করেছেন শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী, গাবুরা ইউপির বাসিন্দারা।

শ্যামনগর উপজেলা সদরের তাল পাতার পাখা বিক্রেতা নজরুল ইসলাম, সুকুমার মন্ডল বলেন দৈনিক ১৫ থেকে ২০টা তালপাতার পাখা বিক্রি হয়। তালপাতার পাখার মূল্য ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পূর্ণিমা কসমেটিকসের প্রোপাইটার গিরেন মন্ডল বলেন, গরমে প্লাস্টিকের হাত পাখাও বিক্রি বেড়েছে। তালপাতার পাখা বিক্রেতা আবু রায়হান বলেন, তিনি কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে তালপাতার পাখা ক্রয় করে এনে শ্যামনগর বিক্রি করছেন।

হাতপাখা ক্রেতা শর্মিষ্ঠা রানী, রওশানারা বেগম বলেন, গরমে বিদ্যুৎ চলে গেলে তালপাতার পাখার হাওয়া ঠান্ডা লাগে এজন্য এটা ক্রয় করলাম। অনেকের বাড়ি বিকল্প বিদ্যুৎ সোলার না থাকার জন্য হাতপাখা সম্বল।

গরমে গত কয়েকদিন যাবৎ উপকূলের শ্যামনগরে মানুষ অস্বস্তি প্রকাশ করছেন। বর্তমানে দৈনিক ৩৮, ৩৯ ডিগ্রী তাপমাত্রা বয়ে চলছে। এর ফলে মানুষ অসুস্থতা বোধ করছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গরমে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে বেশি। চিকিৎসকরা বলেন, এ সময়ে সব বয়সী মানুষদের সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ করে ডায়াবেটিকস, হাই ব্লাডপ্রেসার, কিডনী বা জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

উপকূলের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দিন দিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি হচ্ছে বলে এমনটাই দাবী করে বেসরকারী সংগঠন লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল বলেন, শ্যামনগরসহ সমগ্র উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপন করতে হবে। নকশীকাঁথার পরিচালক চন্দ্রিকা ব্যানার্জী বলেন, গরমে অস্থির, প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে চাইনা। বিদ্যুৎ চলে গেলে হাত পাখা সম্বল। তিনি সমগ্র এলাকায় ব্যাপকভাবে বনায়ন করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।