
ইব্রাহিম খলিল :
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তালতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি ইংরেজি শিক্ষক এস.এম মোর্তজা আলম লিটনকে একই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ মে) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে, মঙ্গলবার (২৩ মে) রাতে তাকে আটক করে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ।
আটককৃত শিক্ষক এস.এম মোর্তেজা আলম লিটন সাতক্ষীরা সদর থানার মাগুরা কর্মকার পাড়া গ্রামের মৃত. মুনসুর আলী সানার ছেলে। একই সাথে তিনি সাতক্ষীরা সদরের তালতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি ইংরেজি শিক্ষক।
নির্যাতিতা ওই স্কুল ছাত্রী জানায় , গত দুই মাস যাবত সে বিকাল ৫টা হতে ইংরেজি বিষয়ে প্রাইভেট পড়াতে যায় মোর্তেজা লিটনের কাছে। প্রতিদিনের ন্যায় গত সোমবার (২২ মে) বিকাল ৫ টায় শিক্ষকের বাসায় ১২-১৩ জন সহপাঠি প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেট পড়ানোর শেষ পর্যায়ে ওই শিক্ষক বিভিন্ন অজুহাতে কৌশলে তার খাতা দেখতে দেখতে এক ঘন্টার বেশি সময় ক্ষেপন করেন। ততক্ষনে তার অন্যান্য সহপাঠিরা চলে যায়। এক পর্যায়ে শিক্ষক তার কক্ষের সোফা থেকে উঠে তার সাথে অসৎ উদ্দেশ্যে এবং তার যৌন কামনা চরিতার্থ করার লক্ষ্যে তাকে জোরপূর্বক জাপটিয়ে ধরে। শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করে। এতে সে বাধা দিয়ে চিৎকার করিলে তিনি তার মুখ চেপে ধরেন এবং বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখায়। এক পর্যায়ে সে নিজের চেষ্টায় শিক্ষককে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত সেখান থেকে চলে আসে। বাড়ীতে এসে সে কান্নাকাটি করতে করতে বিষয়টি তার মাকে জানায়। এ ঘটনার জানার পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে।
এ ব্যাপারে তালতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, এ ঘটনা জানার পর ম্যানেজিং কমিটির মিটিং ডাকা হয়েছে। মিটিং-এ সকলের সম্মতিক্রমে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, যৌন নিপীড়নের অভিযোগে সাতক্ষীরা সদরের তালতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মোর্তজা আলম লিটনকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আটককৃত শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।