
স্টাফ রিপোর্টার ::
আশাশুনি উপজেলার লাঙ্গলদাঁড়িয়া মৌজায় এসএ খতিয়ান ২৯৪ , দাগ ১১০০, হালদাগ ২৫৮১ ,২৫৮০ জমির মধ্যে ৬৭ শতক খাস জমি রয়েছে। এই জমির জাল দলিল সৃষ্টি করে ১৯৮৮ সাল থেকে তা দখল করে রেখেছিল আশাশুনির বকচর গ্রামের আবদুর রউফের ছেলে আবদুল হাকিম ও লাঙ্গলদাঁড়িয়া গ্রামের মতিন মল্লিকের ছেলে মো. মহিউদ্দিন।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন মাড়িয়ালা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন শেখ। তিনি বলেন ২০০০ সালে এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানেরা উক্ত জমি সরকারের কাছ থেকে ডিসিআর মূলে গ্রহন করেন। ডিসিআর গ্রহনের পর হাকিম ও মহিউদ্দিন আদালতে মামলা করেন । সব মামলায় তারা হেরে যান। তাছাড়া বিভাগীয় কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিলেও সেখানেও তারা হেরে যান। রুহুল আমিন আরও বলেন উক্ত সম্পত্তিতে একটি কাঁচা বাজার বসানো হয়েছে। শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল তা উদ্বোধন করেন। কয়েকটি দোকানপাটও বসানো হয়েছে সেখানে। এমনকি সেই জমিতে গত ২৯ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা চত্বর, মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় ও মুক্তিযোদ্ধা পাঠাগার স্থাপন কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হক এমপি। অভিযোগ করে তিনি বলেন এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুল হাকিম ও মহিউদ্দিন ৩০ মার্চ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন যে ওই জমি তাদের রেকর্ডীয়। প্রকৃতপক্ষে তাদের সব দলিল জাল যা আদালতে প্রমানিত বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আবদুল হাকিম বলেছেন মুক্তযোদ্ধা সন্তান শামীমুজ্জামান পলাশ ও আবুল কালাম তার সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছেন। এর জবাবে মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন বলেন তাদের পিতার যথেষ্ট সম্পত্তি রয়েছে। সরকারি সম্পত্তি দখলের প্রশ্নই ওঠে না উল্লেখ করে তিনি বলেন ওই জমির ডিসিআর নিয়ে সেখানে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। রুহুল আমিন আরও বলেন হাকিম ও মহিউদ্দিন জামায়াত শিবিরের সাথে ২০১৩ সালে নাশকতায় জড়িত ছিল।
তিনি এ বিষয়ে প্রতিকার দাবি করে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা নেসার আলি ও মুক্তিযোদ্ধা আমির আলি শেখ।
##